নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যে বায়ার্ন মিউনিখকে আজ সবাই ভালোবাসে, তার উত্থানে বড় অবদান ছিল জার্ড মুলারের। গত রোববার পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন। জার্মান কিংবদন্তির মৃত্যুতে তাকে স্মরণ না করে থাকা যায়? জার্মান সুপার কাপের মঞ্চে হয়েছেও তাই। এক মিনিট নীরবতা পালনের পরই মাঠে গড়িয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ-বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের আগুনে লড়াই।
পরে সেই নীরবতা থেকেই করতালির ঢেউ উঠে এই কিংবদন্তির স্মরণে। তখন জার্ড মুলারের বিখ্যাত ৯ নম্বর জার্সিটা তুলে ধরেছিলেন আরেক তারকা থমাস মুলার! কিংবদন্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সেই শোককেই শক্তিতে পরিণত করেছিল বায়ার্ন। তাতে টানা দ্বিতীয় ও রেকর্ড নবমবার জার্মান সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে জায়ান্টরা। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। ম্যাচে বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রবার্ট লেভান্দোভস্কি। গোল পেয়েছেন থমাস মুলারও। ডর্টমুন্ডের একমাত্র গোলটি করেছেন মার্কো রয়েস। এই জয়ে সুপারকাপের শিরোপা ধরে রাখল বাভারিয়ানরা।
ডর্টমুন্ডের সুযোগ ছিল গত মৌসুমের ফাইনাল হারের শোধ নেওয়ার। এই বায়ার্নের কাছেই আর্লিং হালান্ডরা সেবার হেরেছিল ৩-২ গোলে। তবে গোলের ব্যবধান ভিন্ন হলেও এবারও ম্যাচের ফল ব্যতিক্রম হলো না। আর তাতেই জার্মান সুপারকাপের ইতিহাসে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতল বায়ার্ন। এই নিয়ে নবম শিরোপা জিতল জার্মানির এই ক্লাব।
ম্যাচে শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে ছিল বরুশিয়া। ১৯ মিনিটে গোলের সুযোগও পেয়েছিল। তবে মার্কো রয়েসের শট দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। বিরতির ১০ মিনিট আগে তো বায়ার্নের জালেই বল জড়িয়েছিল ডর্টমুন্ড। এবার বাদ সাধে অফসাইড। জার্মান ফরোয়ার্ড ইউসুফ মওকোকো ভুল করলেও ভুল করেননি লেভান্দোভস্কি। বিরতির ৪ মিনিট আগে ম্যাচের ডেডলক ভাঙেন এই পোলিশ তারকা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন থমাস মুলার।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় ডর্টমুন্ড। ৬৪ মিনিটে রয়েস গোল করে লড়াই জমিয়ে তোলেন। তবে ৭৪ মিনিটে লেভা নিজের দ্বিতীয় গোল করলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ডর্টমুন্ড। ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করে শিরোপা নিশ্চিত করে বায়ার্ন।
বল দখলে প্রায় সমানে সমান লড়েছে বায়ার্ন-ডর্টমুন্ড। ম্যাচে বায়ার্নের ৫১ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে ডর্টমুন্ডের বল দখলে ছিল ৪৯ শতাংশ। অন্যদিকে ১৭ বার ডর্টমুন্ডের গোলমুখে শট নিয়েছে বায়ার্ন, আর ডর্টমুন্ড নিয়েছে আটবার। আক্রমণে তাই পরিষ্কার এগিয়ে ছিল লেভান্দোভস্কিরা। যেটি শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল গড়ে দিয়েছে। তাতে মৌসুমের প্রথম ট্রফিও নিশ্চিত হয়েছে জায়ান্টদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।