নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টুইটারে একটি পোস্ট। আর তাতে মুহূর্তেই বিশ^ ক্রীড়াঙ্গণে ছড়িয়ে পড়ল বিষাদের ছায়া। মারা গেছেন জার্মান কিংবদন্তি জার্ড মুলার। স্থানীয় সময় গতকাল সকালে টুইটারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিনউনিখ। মৃত্যুকালে মুলারের বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। পরে ‘দা গ্রেটেস্ট গোলস্কোরার’ হিসেবে পরিচিত সাবেক এই ফুটবলারের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আজ বায়ার্ন মিউনিখ আর গোটা দুনিয়া স্তব্ধ হয়ে গেছে। জার্মানির কিংবদন্তি ফুটবলার রোববার সকালে ৭৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। মুলার জার্মানির রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ আর জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে বহু ইতিহাস গড়েছেন।’
ক্যারিয়ারে তিনি রেকর্ড গড়েছেন অনেক। মাঠে নেমেই গোল করাই যেন ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। পরিসংখ্যানেও যা ফুটে উঠেছে খুব ভালোভাবে। পশ্চিম জার্মানির হয়ে ৬২টি ম্যাচ খেলে ৬৮ গোল করেছিলেন মুলার। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল (১০টি) করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন মুলার। সেই বছর জেতেন ব্যালন ডি’অর। ১৯৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির জয়সূচক গোলটিও তিনিই করেছিলেন। নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেবার শিরোপা জিতেছিল সেই সময়ের পশ্চিম জার্মানি।
‘দ্য বোম্বার’ নামে পরিচিত সাবেক এই স্ট্রাইকার ক্লাব ক্যারিয়ারে করেন ৬৫০ গোল। ক্লাব ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় তিনি কাটিয়েছিলেন বায়ার্নে। ১৯৬৪-৭৯ পর্যন্ত মেয়াদে ক্লাবটির ৬০৭টি প্রতিযোগিতাম‚লক ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন ৫৬৬টি। বুন্ডেসলিগায় করেছিলেন রেকর্ড ৩৬৫টি গোল। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় এখনও তাকে ছাড়াতে পারেনি কেউ। জার্মানির শীর্ষ এই লিগে সবচেয়ে বেশিবার আসরের সেরা গোলদাতা হওয়ার রেকর্ডটি তার দখলে, সাতবার।
২০১২ সালে লিওনেল মেসি ছাড়িয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এক বর্ষপঞ্জিতে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি মুলারেরই ছিল। রেকর্ড গড়া ৮৫ গোল তিনি করেছিলেন ১৯৭২ সালে। বুন্দেসলিগায় তার এক আসরে সবচেয়ে বেশি ৪০ গোলের রেকর্ডটি টিকে ছিল ৪৯ বছর। গত মে মাসে ওই রেকর্ড ভাঙেন বায়ার্নেরই বর্তমান তারকা রবের্ত লেভান্দোভস্কি। এমন একজন কিংবদন্তির চলে যাওয়ার দিনটিকে বায়ার্নের কালো দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন বায়ার্ন সভাপতি হেরবের্ট হাইনার, ‘আজ বায়ার্ন ও এর সব সমর্থকদের জন্য শোকের দিন, কালো দিন। জার্ড মুলার ইতিহাসে সেরা স্ট্রাইকার এবং দারুণ একজন মানুষ, বিশ্ব ফুটবলের এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব।’
পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৭২ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী মুলার বায়ার্নের হয়ে জিতেছিলেন চারটি বুন্দেসলিগা ও তিনটি ইউরোপিয়ান কাপ(চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পূর্বের সংস্করণ) সহ মোট ১৪টি শিরোপা জিতেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।