বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ায় আমন মৌসুমে ইউরিয়া সার নিয়ে নয়ছয় শুরু হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে ইউরিয়া সার। চাহিদার তুলনায় সার বরাদ্দ কম থাকায় দাম বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
চাষীদের অভিযোগ, খুচরা পর্যায়ে এক বস্তা ইউরিয়া সার ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বগুড়া সদরের একজন সার ডিলার জানান, বগুড়া সদরে চাহিদার তুলনায় সার দেওয়া হয়েছে অনেক কম। ওই ডিলার নিজে বরাদ্দ পেয়েছেন ৩৪ মেট্রিক টন। অথচ তার এলাকায় সারের চাহিদা রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ মেট্রিক টন বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, বগুড়া সদরের তিন মাথায় বিসিআইসি নিয়ন্ত্রিত সারের বাফার গোডাউনে দ্রুত ডেলিভারি এবং উন্নতমানের সারের বস্তা নিতে খরচ হয় ১০ টাকা। এরপর আছে পরিবহন খরচ। সব মিলিয়ে ডেরিভারি পয়েন্টে সার আনতে প্রতি বস্তা ৭০০ টাকার সার বেড়ে দাঁড়ায় ৭২৫ টাকায় । তারা এই সার বিক্রি করেন ৭৫০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে আরেকটু বেশি দামে বিক্রি হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, বগুড়ায় দীর্ঘদিন ধরে যাদের নামে সারের ডিলারশিপ দেওয়া হচ্ছে তাদের কেউ প্রকৃত সার ব্যবসায়ী নয়। রাজনৈতিক বা অন্যান্য প্রভাব খাটিয়ে তারা সারের ডিলারশিপ ধরে রেখে শুধু ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) বিক্রি করেই কামিয়ে নিচ্ছে মুনাফা। একটি ব্যবসায়ী চক্র সার ডিলারদের কাছ থেকে ডিও কিনেই প্রতিবছর হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এতে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন উৎপাদক চাষীরা ।
এদিকে বিএডিসিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়ায় ১০৯টি ইউনিয়নের বিপরীতে সারের ডিলারশিপ আছে ১৬৮ জন। এই ১৬৮ জন সার ডিলার যদি তাদের বরাদ্দ এলাকায় ডেলিভারি পয়েন্টগুলোতে নিয়ম মাফিক সার বিক্রয় করে তাহলে সার নিয়ে কৃষকের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয় ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।