পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আফগানিস্তানে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর সে দেশে থাকা বাংলাদেশিরা দ্রুততার সঙ্গে ওই দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। ১৫ আগস্ট ব্র্যাকের ৩ জন কর্মী টার্কিস এয়ারে কাবুল ত্যাগ করেছেন। আরো ৬ জন আগামী ১৮ আগস্ট আফগানিস্তান ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে পাশের দেশ উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ব্র্যাকের কর্মীরা কাবুলের একটি গেস্ট হাউজে অবস্থান করছেন। তাদের দলনেতা ও ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মোহাম্মাদ করিম শিকদার আমাকে জানিয়েছেন ১৮ আগস্ট টার্কিস এয়ারে করে তারা কাবুল ত্যাগ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। অন্য ৫ জন হচ্ছেন- মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান, মোহাম্মাদ সরফরাজ, কামাল হোসেন, রফিকুল হক মৃধা ও ইউসুফ হোসেন।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তান থেকে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, আগে ব্র্যাকের ৩০০ থেকে ৫০০ জন কর্মী কাজ করতেন। কিন্তু এখানে গোলযোগ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। তিনি জানান, গত ১৩ আগস্ট আমরা আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশিদের বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। তাদের কাছে আমরা জানতে চেয়েছি, কতজন বাংলাদেশি বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন এবং তারা কী অবস্থায় আছেন, সেটি যেন তারা দ্রুততার সঙ্গে জানায়।
এদিকে জানা গেছে, আফগানিস্তানের ১০টি প্রদেশে প্রায় তিন হাজার ব্র্যাক কর্মী কাজ করছেন। এদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশিসহ প্রবাসী ছিলেন ১৪ জন। প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে ৩ বাংলাদেশিসহ ৫ জন ছুটিতে দেশটির বাইরে ছিলেন, যাদের আফগানিস্তানে ফিরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বাকি ৯ জন বাংলাদেশির মধ্যে ৩ জন দেশটি থেকে গত শুক্রবার বিমানে রওনা হয়েছেন।
ব্র্যাকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৯ আগস্ট থেকে আফগানিস্তানে ব্র্যাকের কর্মসূচিগুলো সীমিত করে আনা হয়েছে। প্রায় দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে ব্র্যাকের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব কর্মসূচির বেশির ভাগই স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাদ্যনিরাপত্তাকেন্দ্রিক।
বাংলাদেশে ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, আফগানিস্তানে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশটি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকে দেশটিতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে ব্র্যাক। ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক শামেরান আবেদ বিবৃতিতে জানান, আফগানিস্তানে কর্মরত কর্মীদের ঝুঁকি নিরসন করে তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে ১৬ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আফগানিস্তানের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে বাংলাদেশ। বিবৃতিতে জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের সব পক্ষকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বিদেশিদের নিরাপত্তা বজায় রাখার কথা বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, আফগানিস্তানের উন্নয়ন তখনই নিশ্চিত হবে যখন আফগান জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাবে। শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল উন্নত আফগানিন্তান দেখতে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য ওই দেশকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।