গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ইতিহাস ভুলে গেলে বাঙালি জাতি আবারও পথভ্রষ্ট হবে। তিনি বলেন, যারা এ দিন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিসমাপ্তি ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন, তারা এখনও সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তারা আজও এই হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস বিকৃত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার কিন্তু শত্রুদের আর জায়গা করে দেওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল শোকসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, যে মহান ব্যক্তিটি পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে আমাদের মুক্তি অর্জনের জন্য প্রায় ১৪ বছর জেল খেটেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাকে হত্যা করে বাঙালি জাতি যে কলঙ্ক লেপন করেছে তা কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আজীবন চেষ্টা করে গেছেন। আমাদের সবার দায়িত্ব হবে, বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন করা, তার আদর্শ লালন করা।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ হয়েছে, আইনের শাসন ধূলিসাৎ হয়েছে, ২১ বছর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কোনো এফআইআর হয়নি। ১৯৯৬ সালে উক্ত অধ্যাদেশ বাতিলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। অথচ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাতজন বিচারক আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপিল শুনতে বিব্রত বোধ করেছেন। এগুলো ইতিহাসের সত্য কথা, ভুলে গেলে চলবে না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনের দিকে চলতে হবে। শোকসভায় অংশ নেওয়া আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করতে হবে, তবেই বঙ্গবন্ধু চিরঞ্জীব হবেন। জাতির পিতা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, আমরা কতটুকু তা করতে পেরেছি তা অনুধাবন করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন ফরহাদ, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন। শোকসভায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের কর্মকর্তাসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতর-সংস্থার প্রধানরা অংশ নেন। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।