পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে ফিলিপাইনের এক নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ আসা কলের তথ্যের ভিত্তিতে এ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম এলিনো চেনাই ইভলি (৬৫)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, গত রোববার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশান-১ এর ১২৫ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাসা থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান ওই বাসার একটি টয়লেটের ছোট জানালার গ্রিলের সাথে গলায় বেল্ট প্যাঁচানো অবস্থায় এক ফিলিপিনো নাগরিকের লাশ ঝুলে আছে। তিনি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তারা বুঝতে পারছিলেন না, কারণ দেহটি দেওয়ালের দিকে মুখ করে ঝোলানো ছিল, তারা শুধু শরীরের পেছনের দিকটা দেখতে পারছিলেন।
ওই কলার আরও জানান, ফিলিপিনো নাগরিকের নাম এলিনো চেনাই ইভলি (৬৫)। তিনি কক্সবাজারের মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্টে কসকো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। গত মাসের গোড়ার দিকে ফিলিপাইন যাওয়ার জন্য ঢাকায় এসে করোনা টেস্ট করান, কিন্তু করোনা পজিটিভ হওয়ায় তিনি দেশে যেতে পারেননি। এরপর তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর তিন-চার দিন আগে এই বাসায় আসেন তিনি। তিনি বলেন, কিন্তু বাসায় আসার পরও নানা রকম শারীরিক সমস্যার কারণে তাকে কয়েকবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়েছে। রোববার বিকেলে তিনি টয়লেটে গেলে অনেক্ষণ পরও বের না হলে তারা ভেবেছিলেন তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন তাই তারা অ্যাম্বুলেন্স কল করেন।
এরপর বাথরুমের দরজা খুলে এই অবস্থা দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেন। ৯৯৯-এর এই কলার এলিনো চেনাই ইভলির সঙ্গে একই প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি গুলশান থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায়। ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে গুলশান থানার একটি পুলিশ দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়। গুলশান থানার এসআই নজরুল জানান, তারা ঘটনাস্থল থেকে ফিলিপিনো নাগরিকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। জানতে চাইলে গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, যেহেতু বিদেশি নাগরিক, সেহেতু আইনি পদক্ষেপের আগে আমরা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলবো।
এরই মধ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না যে তিনি কিভাবে মারা গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।