পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তালেবান মুজাহিদিন সৈনিকরা কাবুল দখলে নেওয়ার পর এক শ্রেণির আফগানিদের দেশ ছাড়ার হিড়িক চলছে। অন্যত্র পালানোর জন্য রোববার বিকেল থেকেই হাজার হাজার আফগান ভিড় জমান কাবুল বিমানবন্দরে৷ পালানোর সময় উড়ন্ত বিমান থেকে ছিঁটকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই আফগানির।
দেশ ছাড়ার সময় কাবুল বিমানবন্দরে ব্যাপক হুড়োহুড়ি ও হট্টগোলের বহু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কেউ বিমানের পিছনে পিছনে জীবন-মরণ বাজি রেখে ছুটছে, কেউ বিমানের পাখায় বসে কেউ বা দরজা ধরে পালানোর চেষ্টা করছে। এসব ভিডিও ফুটেজে দিনভর সরগরম নেট দুনিয়া।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, পলায়নরত আমেরিকান বাহিনীর বিমান ঘেরাও করে আটকাবার চেষ্টা করছে সাধারণ আফগানিরা। মার্কিন বাহিনী আফগানি মিত্রদের ফেলে পালিয়ে গেলে অনেকেই শেষ চেষ্টা করেছেন বিমানের চাকা ধরে হলেও দেশ ছাড়ার।
তালেবানদের ঐতিহাসিক রক্তপাতহীন বিজয়ে গোটা সামাজিক মাধ্যম জুড়ে চলছে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা। যদিও কিছু মানুষকে উদ্বেগ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
হুড়োহুড়ি করে পালানো আফগানিদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে আখতারুজ্জামান লিখেছেন, ‘‘এরা আসলেই অপরাধী।এদের সহযোগিতায় বিদেশীরা ২০ বছর আফগানিস্তানকে দখল করে রেখেছিলে। এরা যদি অপরাধী না হতো তাহলে প্রাণের ভয়ে এভাবে পলায়ন করত না। অপরাধীরাই জীবনের অনেক মায়া করে অথচ এদেরকে তালেবান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দিয়েছে তারপরও এরা বিশ্বাস করতে পারছে না। কারণ এদের অন্তরটা যে অবিশ্বাসে পরিপূর্ণ। একমাত্র ভীরু কাপুরুষ ও মীরজাফররাই এভাবে পলায়ন করে।’’
সুহাইল রহমানি লিখেছেন, ‘‘কাবুল থেকে সাধারণ জনগণ হুমড়ি খেয়ে ভিনদেশে পালানোটা ভয়ের নয় বরং সুযোগ গ্রহণের! কোন ভাবেই আমেরিকা বা ইউরোপের কোন দেশে যাওয়ার চান্স পেলেই হল!দেশে যারাই রাজত্ব করুক দেশ তো আর কোথায় যাচ্ছেনা। আজ হোক বা কাল দেশে আবার আসবে।এরকম সুযোগ বাংলাদেশে হলে বিমানকে অনেক আগেই লঞ্চ বানিয়ে ফেলা হত।’’
মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের মন্তব্য, ‘‘পৃথিবীর যেখানেই স্বৈরাচার, একনায়ক আর অগণতান্ত্রিক জুলুমবাজ সরকারের পতন হয়। সেখান থেকে মাফিয়ারা পালানোর জন্য এভাবেই ইঁদুরের গর্ত খুঁজতে থাকে।’’
শাহী আল মুবিন সুমন লিখেছেন, ‘‘এরা বিশ্বাসঘাতক। এরা অনেক লোভী ছিল। তারা তাদের জন্মভূমির সাথে প্রতারণা করেছে। তাই তো পরবর্তী পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এবং ভালো জীবনের আশায় উন্নত দেশে পালিয়ে যাচ্ছে।’’
আব্দুল্লাহ ইমরান লিখেছেন, ‘‘তালেবান ঘোষণা দিয়ে ক্ষমা করার পরে ও কেনো বিমানের জানালা ধরে ঝুলে অন্যদেশ পারি জমানো লাগে? নিশ্চয় এমন কিছু করেছে, এমন পাপ করছে, যে বুঝতে পারছে সব ক্ষমা হলেও এটার ক্ষমা নাই!তালেবান তো জোর করে ক্ষমতায় আসেনাই। উলটা মিলিটারি রাই যুদ্ধ করেনাই। তাদের সেই মনোবল নাই। পাপী, মিথ্যুক লোকদের মনোবল থাকেনা, তারা সুধু ফাকে পরে সুবিধা নেয়, সত্য সামনে আসলেই পালায়।’’
হেলাল মাসুদ লিখেছেন, ‘‘কেউ বা ভয়ে! কেউ বা তাদের কূ-কৃতির জন্য দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য ইউএস এয়ারফোর্সের একটা বিমানের পিছনে পিছনে জীবন মরণ বাজি রেখে ছুটছে আফগানিরা, কেউ বিমানের পাখায় বসে কেউ বা দরজা ধরে এভাবেই পালাচ্ছে, রানিং অবস্থায় আকাশ থেকে পড়ে অলরেডি দুই হতভাগা আফগানির করুন মৃত্যু।’’
কামরুল ইসলামের মন্তব্য, ‘‘যতোদিন আমেরিকান বাহিনীর প্রয়োজন ছিলো তাদের দিয়ে পা চেটিয়েছে তারা,,,এখন তারা যখন ছেড়ে চলে যাচ্ছে তখন বিমানের চাকা ধরে না, তাদের পা ধরে কান্না করলেও কোন সাহায্য করবে না কারণ তাদের প্রয়োজন শেষ,,,।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।