Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা ধাক্কা দেন সরকার পড়ে যাবে: গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৮:৪৯ পিএম

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা ধাক্কা দিলেই সরকার পড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার (১৪ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সংগঠনের মরহুম সভাপতি শফিউল বারী বাবুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার দুর্গতির চরম সীমায় পড়ে গেছে। সেকারণেই বলছি, আমরা যে যেখানে থাকি না কেনো আমাদের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়াটুকু আপাতত বন্ধ রেখে আমরা নেতৃত্বের যে নির্দেশগুলো সেগুলো যদি সাহসের সাথে রাজপথে দৃশ্যমান করতে পারি তাহলে এই সরকার আর বেশি সময় টিকে থাকতে পারবে না। এই সরকার কিন্তু যাবে আপনারা আন্দোলন করেন আর না করেন।

তিনি বলেন, এখন বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার হটানোর যে স্বীকৃতি জনগণের কাছে আপনারা চান কিনা? যদি চান তাহলে দায়িত্বশীল দল হিসেবে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে একাত্মতাবোধ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা ধাক্কা দেন, সরকার পড়ে যাবে।।

বিএনপির অগ্রযাত্রা কোনো পরিস্থিতিতে আর ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, একদিন ইনশাল্লাহ গুলির আওয়াজ থাকবে না, পিস্তলও থাকবে না। জনগণের চাপের মুখে এই সরকারের পতন ঘটতেই হবে। যে দলে বাবুদের (শফিউল বারী বাবু) মতো কর্মী আছে, নেতা আছে, যে দলের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, যে দলের নেতা তারেক রহমান সেই দলকে কোনো পরিস্থিতিতে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, যোগ্য নেতাদেরকে যোগ্য জায়গায় স্থান দিয়ে তাদেরকে জায়গা মতো আনতে পারলে ইনশাল্লাহ এই দল আবারো সুদূঢ় হয়ে উঠে দাঁড়াবে এবং এই সরকারের বিপক্ষে আমরা লড়তে পারবো।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি সরকারের জন্য একটা শাপে বর হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির কথা বলে আমাদেরকে তারা সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। হয়ত অন্যরকম হয়ে যেতে পারতো এই কয়েকদিনে। এই করোনা সংক্রমণ নিয়েও এই সরকার খেলাধুলো করছে, দেশের মানুষগুলোকে নিয়ে এই সরকার খেলাধুলো করছে। আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, আমাদের রাস্তায় চলাফেরার অধিকার নাই। আজকে আমাদের দলের এক নেতা মুক্তি পেয়েছে তিনবছর পর ইসহাক সরকার। কোনো দোষ ছিলো তার, সে শুধু রাজনীতি করতো। দলের এমন কোনো নেতা-কর্মী নাই যারা জেলে যাননি। এবারো আমরা জেলে যাবো, আবার যখন আমরা মুক্তি পাবো তখন পুরো দেশকে মুক্ত করে আমরা মুক্ত হবো ইনশাল্লাহ।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।



 

Show all comments
  • Harunur Rashid ১৪ আগস্ট, ২০২১, ১১:২৭ পিএম says : 1
    Why ask others , do it your self. Only cowards ask others to do their dirty work.
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৫ আগস্ট, ২০২১, ২:৪৯ এএম says : 0
    ধাক্কা ধাক্কীর দরকার নাই,সিদা রাস্তায় আসুন এবং সংবিধান সংশোধন করুন,সরকারের হাতে ক্ষমতা রেখে নির্বাচন হবে,এই দরনের চুক্তি স্বাক্ষর এরশাদ সরকার কে হঠানোর পরে হয় নাই যে সরকারের হাতে ক্ষমতা রেখে নির্বাচন হবে,কথা ছিল নিরপক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা রেখে নির্বাচন হবে,আমরা জনগণ তাই দাবী করতেছি,যদি সরকার তাহা না করে আমরা জনগণ রাস্তায় নামবে, এবং আমাদের দাবী থাকবে আমরা সংসদীয় পদ্ধতি চাই না,সংসদীয় পদ্ধতি দলীয় দলীয় ভাবে দলীয় আমলা যাই করবে তাই জনগণের মতামত নাই জনগণের অধিকার নেই,মন্ত্রী এমপি যাই করবে তাই এই জন্য আমাদের সংসদীয় পদ্ধতির দরকার নেই,আমরা আবার সংবিধান সংশোধন করে পুর্বের রাষ্ট্র পতি পদ্ধতিতে যাবে,আমাদের রাষ্ট্র পতি হবে জনগণের সরকার,জনগণের রায় নিয়েই রাষ্ট্র পতি সরকার পরিচালনা করবেন,সংসদীয় পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার নেই ইজ্জত নেই,শুধু দলীয় লোকদের দাপটের বাহাদুরি জনগণ কিছুই না,এই সরকার আর এক বসর ক্ষমতায় আছে,ক্ষমতা শেষ হওয়ার পর জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে কি করবে,কিন্তু যদি সরকার কথা না শুনেন ,জনগণ আর বরদাস্ত করবে না,জনগণ অবশ্যই ভোটের অধিকার চায়,সরকার কথা না শুনলে সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য জনগণ অবশ্যই একত্রিত হবে,সরকারের এখন ও সময় আছে,যুক্তি সংগত ভাবে কি করবে জনগণ কে জানানো,সময় শেষ করে লাভ নেই,পরে সরকার চোখে রাস্তা খুঁজে পাবে না,দেশে অভিজ্ঞ অভিজ্ঞ রাজনৈতিক শিক্ষা বীদ বিশেষজ্ঞরা আইনজীবীরা আছেন আপনাদের উচিত এখন থেকে বিষয় গুলি সমাধান করে রাখা,পরবতীর্তে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাহা হতে দেবে না দেশের জনগণ,শান্তি ভাবে নিরপক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা রেখে নির্বাচন হবে জনগণের ইচ্ছা যাকে মনে চায় সরকার গঠন করতে রায় প্রধান করবে।যদি তাই না করে তবে আমাদের আগের রাস্তাই ভালো আমরা জনগণ ভোটের মাধ্যমে একজন রাষ্ট্র পতি নির্বাচিত করবে,সে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mustafa Ahsan ১৫ আগস্ট, ২০২১, ৩:৩৫ এএম says : 0
    জনগন আন্দোলন করে রাস্তায় মরুক আর আপনারা তাদের কানধে ভর দিয়া খমতায় যান এর পর বহুদিনের জমানো লুটপাট আবার শুরু করেন ঐ দিন আর নাই মানুষ আপনাদেরে দুইবার বিশ্বাস করে ঠগছে নব্বই ভাগ নেতারা খালেদা জিয়াকে সামনে রেখে লুটপাট আর অনাচারে লিপ্ত ছিলো এখন মানুষের নাভিশবাস উঠলেও যাওয়ার কোন জায়গা আপনারাই রাখেন নাই তাই এত আমপপুলারিটি সত্বেও জনগন রাস্তায় আপনাদের পিছনে নামে না।তার থেকে শহিদ মিনারে যেয়ে পুরো দলবল নিয়ে গন তওবা করেন যে ক্ষমতায় গেলে চুরি চামারি নিরজাতন আর নৈরাজ্য করবেন না আর যা অতিতে করছেন জাতীর কাছে ক্ষমা চান তবে আস্হা ফিরে আসতে পারে আর নূতন করে ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের জন্য কি করবেন কি পরিকল্পনা নিয়ে যুব সমাজকে পরিচালিত করবেন দূরনীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বেন কিনা মুখে না বলে তা মেনিফেসটো আকারে দফা মানুষের মাঝে পেশ করুন এতে লাভ হবে। ফাঁক ফোকর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে। গয়শবর বাবু আর কত কর্মিরা জেলে নির্যাতন সইবে আপনাদের হটকারিতার জন্য???
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ