পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা মনে মনে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য মুক্তি চান মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গোপন জরিপ করলে দেখা যাবে, এ দেশের ৯৯.৯৯ শতাংশ জনগণ এ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসা চায়। শুধুমাত্র ১ শতাংশ তাকে (শেখ হাসিনাকে) খুশি করার জন্য, সভ্যতার ধার ধারে না।
আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরাও জানি না, প্রকৃত অর্থে ম্যাডামের চিকিৎসার বিষয়টা কি? কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি, শেখ হাসিনা সেটা জানেন। কারণ, তিনি ক্লোজ মনিটরিং করছেন। উনি মিনিট ঘণ্টা-গুনছেন, কখন দুর্ঘটনাটা ঘটবে। যে দুর্ঘটনার পর উনি ভাবছেন, সব বাধা মুক্ত হয়ে যাবেন। তিনি যদি একটু সুষ্ঠুভাবে চিন্তা করতে পারতেন তাহলে বুঝতে পারতেন। এ দুর্ঘটনার সংবাদ যখন জনগণের মনে আসবে, তখন দেশে যে আরেকটা দুর্ঘটনা ঘটবে। তার ভাবনাটা তিনি যদি না ভাবেন, তাহলে বুঝতে হবে বাংলাদেশের কিয়ামত খুব কাছাকাছি। র্যাব-পুলিশ আর কোনো বড় শক্তি ব্যাপার না।
তিনি বলেন, আমাদের আবেগের জায়গাগুলো এক, লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্য এক। আমরা কেউ কেউ বেশি ধৈর্যশীল। আবার কারও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে, আর কত। কিন্ত সবার উদ্দেশ্য একটাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিশ্চিত করা। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) জনগণের ভোটের তোয়াক্কা করে না, আদালতের তোয়াক্কা করে না। তিনি যা চান তাই হয়, এটার নাম বাংলাদেশ। এদেশে একজন ব্যক্তি আছে তার নাম শেখ হাসিনা। তিনি যা ইচ্ছে তাই করে সময় পার করছেন। এর পেছনে কি কোনো শক্তি নাই? সেই শক্তি কি চায় সেইটাও আমাদের বোঝার বিষয় আছে। গয়েশ্বর বলেন, আপনারা আমাদের দিকে প্রশ্নের তীর ছুড়ছেন, আমরা বুঝি। প্রশ্ন না করলেও আমাদের মনে প্রশ্ন আসে। কোনো দুর্ঘটনার দু-সংবাদ যদি আসে। শেখ হাসিনা এবং তার দলবল, এমনকি আমরা জনরোষানলে পড়ব। আমরাও সাধারণ মানুষের কাছে তিরস্কার হবো।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সবাই যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে সেই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বেআইনি সরকারের আইন ফলো করার দরকার নাই। তারপরও বলছি, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার বিষয়টা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে গতিশীল করা। যখন আঘাত করা দরকার তখন আঘাত করে সরকার পতন ঘটাব। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহসানুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।