মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশে কিছুদিন আগে একটি টিকাকেন্দ্রে টিকা না দিয়ে শরীরে শুধু সূঁচ ঢুকিয়ে ইনজেকশন ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পাশের দেশ ভারতের একটি এলাকায় টিকার নাম করে শুধু পানি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে, যার ভুক্তভোগী ছিলেন খোদ তৃণমূল সংসদ সদস্য ও টালিউড তারকা মিমি চক্রবর্তী। এমনকি চীনেও ভুয়া করোনা টিকা দেয়ার খবর শোনা গেছে। এবার অনেকটা একই ঘটনা ঘটল জার্মানিতেও। সেখানে করোনা টিকার বদলে ইনজেকশনে স্যালাইনের পানি ঢুকিয়ে পুশ করেছেন এক নার্স।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের খবর, সম্প্রতি উত্তর জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনির একটি শহরে ঘটেছে এই ঘটনা। এতে গত ৫ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে টিকা নেয়া ৮ হাজার ৫৫৭ জন প্রভাবিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা যায়, গত এপ্রিলে করোনা টিকার বদলে স্যালাইন পানি দিয়েছিলেন ওই নার্স। তার আইনজীবীর দাবি, এমন ঘটনা মাত্র একবারই ঘটেছিল। দুর্ঘটনাক্রমে টিকার একটি শিশি ভেঙে ফেলেছিলেন নার্স। এতে খুবই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তখন ভয় পেয়ে ও চাকরি বাঁচাতে স্যালাইন পানির টিকা দিয়ে দেন।
আইনজীবীর দাবি, টিকার মধ্যেই স্যালাইন পানি যোগ করে দিয়েছিলেন নার্স। ফলে টিকা যে মোটেও দেয়া হয়নি, তা নয়।
তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ছয়বার করোনা টিকার নামে স্যালাইন দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নার্স। কিন্তু এ দাবি তারা মানছেন না। তদন্তকারীরা ধারণা, আরও অনেককেই স্যালাইনের টিকা দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরাও বলছেন, ওই নার্স আরও অনেককে স্যালাইন দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে তাদের।
এ ঘটনায় অভিযুক্তকে ইতোমধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি কেন এই কাজ করলেন তা পরিষ্কার নয়। তবে কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করোনা টিকা নিয়ে নিজের সংশয়ের কথা জানিয়েছিলেন ওই নার্স।
জার্মান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্যালাইন দেয়ায় এমনিতে শরীরের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু করোনারোধী টিকা যে অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য দেয়া হয়, সেটি তৈরি হবে না। আর ওই সময় মূলত বয়স্করা টিকা পেয়েছেন। ফলে তারা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবেন। কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, নার্সের এই কাণ্ডের পর এলাকায় করোনার প্রকোপ বাড়তে দেখা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।