পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া ‘জঞ্জাল’ দূর করতেই কেবল তার দেশকে প্রয়োজনীয় মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার রাজধানী ইসলামাবাদে নিজ বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই অভিযোগ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আফগান সরকারের সঙ্গে ভেস্তে যাওয়া শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য তালেবানের ওপর পাকিস্তান যাতে প্রভাব খাটায় সেজন্য দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করছে ওয়াশিংটন। এই তথ্য জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘২০ বছর ধরে সামরিক সমাধান খোঁজার পর তা না পেয়ে তাদের ফেলে যাওয়া জঞ্জালের নিষ্পত্তি করতেই কেবল পাকিস্তানকে প্রয়োজনীয় মনে করা হয়।’ আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণার পর থেকে আগের চেয়ে আরও বেশি এলাকা দখল নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। কাবুল এবং বেশ কিছু পশ্চিমা সরকারের অভিযোগ, তালেবানদের পেছনে পাকিস্তানের সমর্থন থাকার কারণেই যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। তালেবানদের সহায়তার অভিযোগ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের দীর্ঘ দিনের তিক্ততার সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, আফগানিস্তানে কোনো পক্ষ নিচ্ছে না ইসলামাবাদ। তিনি বলেন, আমার মনে হয় আমেরিকানরা এখন ভারতকে কৌশলগত সঙ্গী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমি মনে করছি এ কারণেই পাকিস্তানের সঙ্গে এখন ভিন্ন আচরণ করা হচ্ছে। ইমরান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে কোনো রাজনৈতিক সমাধান বেশ কঠিন মনে হচ্ছে। তালেবান নেতারা পাকিস্তানে যাওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে একটি বন্দোবস্তে পৌঁছার চেষ্টা করেছেন। তালেবান নেতাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তাদের শর্ত, যতদিন আশরাফ ঘানি (আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট) আছেন, আমরা (তালেবান) আফগান সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাব না।
তালেবানদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে আফগান বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ৩১ অগাস্টের পর এই সমর্থন থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ইমরান খান জানান, ‘এটা অত্যন্ত পরিষ্কার’ করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো সেনা ঘাঁটি চায় না পাকিস্তান। তালেবানরা আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত পুতুল সরকার মনে করে। যে কারণে গত সেপ্টেম্বরে কাবুলের আলোচকদের সঙ্গে তালেবানদের শান্তি আলোচনারও কোনো অগ্রগতি হয়নি। আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের প্রতিনিধিরা দুই পক্ষকে আলোচনায় বসানোর শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।