নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পাশ কাটিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার সংস্কৃতির বরাবরই ঘোরবিরোধী ইনজামাম-ইল-হক। প্রায়ই ব্যাপারটি নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন পাকিস্তান ব্যাটিং কিংবদন্তি। এবার বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরের নিউজিল্যান্ড দল দেখে তিনি মহাখ্যাপা। এই দুটি সফরেই দলটি খেলতে আসবে কেইন উইলিয়ামসনসহ শীর্ষ সাত তারকা ক্রিকেটারকে ছাড়াই। বিশ্রাম-টিশ্রাম দিলে না হয় একটা কথা ছিল, এই সাত ক্রিকেটার সে সময় খেলবেন আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো! আর তাতেই চটেছেন ইনজি। তীর্যক বাক্যবাণে জর্জরিত করেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের নিংন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকেও। তার ভাষ্যে, ‘এটা কীভাবে সম্ভব! বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড এটাকে সমর্থন দিচ্ছে- জাতীয় দলের খেলা বাদ দিয়ে পয়সা রোজগারের ক্রিকেট খেলা। আইসিসি কী করছে! বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা কি ঘুমিয়ে আছে?’
কয়েক দিন আগে একসাথে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরের জন্য ৩২ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড তারা আগেই দিয়ে দিয়েছে। বিশ্বকাপের আগে দুটি সফর আছে নিউজিল্যান্ড দলের। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলের কেউ নেই। আগামী কয়েক মাসের আঁটসাঁট ক্রিকেট ক্যালেন্ডার, করোনাকাল- সব মিলিয়ে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের দেখভাল করতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত। ইনজামামের প্রশ্ন, ‘তাহলে উইলিয়ামসনসহ সাত শীর্ষ ক্রিকেটার কেন আইপিএল খেলতে যাবেন? এক মাস ধরে জৈব সুরক্ষাবলয়ে থেকে আইপিএল খেললে খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা হয় না?’
ইনজামাম এ ব্যাপারে আইসিসিরই দায়ভার দেখেন, ‘আইসিসি আসলে কী করছে? এসব কর্মকাÐ দিয়ে আসলে কোন ধরনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পাত্তা না দিয়ে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা আইপিএল বা এ ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই গুরুত্বহীন করা হচ্ছে।’
সর্বশেষ কয়েকটি সিরিজে প‚র্ণশক্তির প্রতিপক্ষ পায়নি পাকিস্তান। এটা পোড়াচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তিকে, ‘আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, এ ব্যাপার পাকিস্তানের ক্ষেত্রেই বেশি হচ্ছে। পাকিস্তান কেন যেন প্রতিপক্ষের সেরা দলটির বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। এপ্রিলে পাকিস্তান দল দক্ষিণ আফ্রিকা গেল, তখনো প্রোটিয়াদের মূল দলের সঙ্গে খেলতে পারেনি। সে সময় দক্ষিণ আফ্রিকার ম‚ল খেলোয়াড়েরা আইপিএলে ব্যস্ত ছিল। এভাবে চলতে থাকলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান দলের সঠিক প্রস্তুতি কীভাবে হবে!’
বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, পাকিস্তানে ওয়ানডে সিরিজ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট যে ৩২ সদস্যের দল দিয়েছে; তাতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে কিছু তারকা ক্রিকেটারকে। এই ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তান সফরে আসছেন না। তবে প্রায় সবাই আছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে।
উইলিয়ামসন, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টড অ্যাস্টল, জিমি নিশাম, ড্যারিল মিচেল, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, কাইল জেমিসন, টিম সাইফার্ট, মার্টিন গাপটিল, ডেভন কনওয়েদের মতো ক্রিকেটার না থাকায় জাতীয় দলের নামে মোটামুটি ‘এ’ দল নিয়েই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে আসছে নিউজিল্যান্ড। দুই সফরে নিউজিল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দেবেন টম ল্যাথাম। মজার ব্যাপার, নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে নেই ল্যাথামও!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।