বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিনাঞ্চলে করোনা প্রতিষেধক ভেকসিন গ্রহনে গনমানুষের ব্যপক আগ্রহ সৃষ্টি হলেও উপজেলা সদরের হাসপাতালে কেন্দ্র সিমিত থাকায় সাধারন মানুষের দূর্ভোগ বাড়ছে। উপরন্তু বরগুনার তালতলী ও রাঙ্গাবালী উপজেলাতে স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কার্যক্রম না থাকায় সেখানে ভেকসিন প্রদান করা হচ্ছে না। প্রতিদিন যে পরিমান মানুষ ভেকসিন গ্রহনের জন্য কেন্দ্রগুলোতে হাজির হচ্ছেন, সে পরিমান ভেকসিনের সরবারহ না থাকায়ও বিপুল সংখ্যক ভেকসিন প্রার্থী বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফিরে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে এখনো করোনা ভেকসিন গ্রহনের জন্য সরাধারন মানুষের ভোগান্তি থাকলেও একটি ভেকসিনের জন্য ইতোমধ্যে হন্যে হয়ে ছুটছেন তারা।
এতদিন ভেকসিন গ্রহনে অনিহা কাটিয়ে সাধারন মানুষের আগ্রহ এখন যথেষ্ঠ বাড়লেও তা গ্রহনে বিপত্তি অনেকের মধ্যেই আবার অনাগ্রহ তৈরী করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এরপরেও চলতি মাসের প্রথম দশ দিনে বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় প্রায় ৪ লাখ ৮ হাজার নারীÑপুরুষ করোনা ভেকসিন ‘সিনোভ্যাক’ ও ‘মডার্ণা’র প্রথম ডোজ গ্রহন করেছেন। যারমধ্যে গত ৭ আগষ্ট গনটিকা প্রদানের দিনই ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৮৩ জন ভেকসিন গ্রহন করেছেন। এরমধ্যে বরিশাল মহানগরীতে ৪৬ হাজার ৬৮৫ জন মডার্ণা’র ভেকসিন গ্রহন করেন। তবে এখনো ভেকসিন গ্রহনকারীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৩৫%-এর নিচে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায়ও গত দশ দিনে মোট ৪৬ হাজার ৬৮৫ জন ভেকসিন গ্রহন করেছেন। এরমধ্যে ১৮ হাজার ২৩০ জনই গত ৭ আগষ্ট ভেকসিন গ্রহন করেন। মহানগরীর ২৯টি ওয়ার্ডের প্রায় ৪০টি বুথে এখন প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫ হাজারের কিছু বেশী নারীÑপুরুষ ভেকসিন গ্রহন করলেও সংখ্যাটা ১০ হাজারে উন্নীত করার তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসকগন। কিন্তু মডার্ণা’র ভেকসিন না থাকায় বৃহস্পতিবারের পরে বরিশাল মহানগরীতেও কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শণিবার থেকে ইতোপূর্বে এ্যস্ট্রোজেনকা’র প্রথম ডোজ গ্রহনকারীদের ভেকসিন প্রদান শুরু হবে বলে জানা গেছে। মহানগরী এলাকায় সিনোফার্মা বা অন্য কোন ব্রান্ডের ভেকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বরিশাল মহানগরী বাদে দক্ষিণাঞ্চলের অপর ৫টি জেলা সদর ও ৩৪টি উপজেলা সদরেও প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ভেকসিন গ্রহন করলেও সরবরহ বৃদ্ধি সহ কেন্দ্র বাড়িয়ে এ সংখ্যা অন্তত দ্বিগুন করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন। পাশাপাশি তালতলী ও রাঙ্গাবালী উপজেলা সদরেও বিকল্প যেকোন ব্যবস্থাতেই করোনা ভেকসিন কার্যক্রম শুরুর ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন চিকিৎসকগন। তাদের মতে, বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামেগঞ্জে মহামারী আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় পল্লী এলাকায় ভেকসিন প্রদানের সংখ্যা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
এব্যাপারে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিব জনাব সাইফুল ইসলাম বাদল জানান, ‘আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যত দ্রæত সম্ভব বেশী সংখ্যক মানুষকে ভেকসিনের আওতায় আনার’। ১তালতলী ও রাঙ্গাবালী উপজেলাতেও ভেকসিন কার্যক্রম শুরুর লক্ষে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা গ্রহনের’ কথাও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।