নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদার আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সহজ জয় পেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, সাইফ স্পোর্টিং ও চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। মঙ্গলবার বিকালে বনানীস্থ বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে মোহামেডান ২-০ গোলে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে স্থানীয় মিডফিল্ডার শাহেদ হোসেন মিয়া ও মালির ফরোয়ার্ড সোলেমানে দিয়াবাতে একটি করে গোল করেন। লিগের প্রথম পর্বে ব্রাদার্সকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল সাদাকালোরা। আগের ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির বিপক্ষে প্রথমে গোল করেও শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে পারেনি মোহামেডান। ফলে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। তবে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ভুল করেনি মতিঝিল ক্লাব পাড়ার দলটি। দুই অর্ধে একটি করে গোল করে ঠিকই সহজ জয় পেয়ে ঘরে ফেরে তারা।
মঙ্গলবার ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও গোল পেতে মোহামেডানকে অপেক্ষায় থাকতে হয় প্রথমার্ধের প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত। ম্যাচের ৪১ মিনিটে সোলেমানে দিয়াবাতের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ শটে গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন শাহেদ (১-০)। আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে মোহামেডানের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন মালির ফরোয়ার্ড সুলেমানে দিয়াবাতে (২-০)। বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাদাকালোরা। ম্যাচ জিতে ২০ খেলায় দশ জয়, ছয় ড্র ও চার হারে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চমস্থানে মোহামেডান। ১৯ ম্যাচে এক জয়, তিন ড্র ও ১৫ হারে মাত্র ৬ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাদার্সের অবস্থান বারোতম। অন্যদিকে একই সময়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগের আরেক ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ৪-২ গোলে হারায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। বিজয়ী দলের পক্ষে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইকেচুকু কেনেথ দু’টি এবং তার স্বদেশী মিডফিল্ডার জন ওকোলি একটি গোল করলে অন্যটি হয় আত্মঘাতী গোল। রাসেলের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ওবি মোনেকে একাই দু’গোল শোধ দেন। প্রথম পর্বে রাসেলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল সাইফ।
ম্যাচের ১০ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। তাদের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড জন ওকোলির কোনাকুনি শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসার পর গোলমুখে থাকা রাসেলের আসাদুজ্জামান বাবলুর গায়ে লেগে বল জালে জড়ায় (১-০)। চার মিনিট পরই ওবি মোনেকের গোলে সমতায় ফিরে শেখ রাসেল (১-১)। আক্রমণের ধারায় থেকে প্রথমার্ধেই আরো দু’গোল আদায় করে নেয় সাইফ। ম্যাচের ২৭ মিনিটে আবিদ আহমেদের লম্বা ক্রস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত শটে গোল করেন ইকেচুকু কেনেথ (২-১)। ৪০ মিনিটে জন ওকোলি হেডে গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১। ৫২ মিনিটে কেনেথের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান আরো বড় হয় (৪-১)। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ওবি মোনেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেও দল আর ম্যাচে ফেরাতে পারেননি (২-৪)। এই জয়ে ১৯ ম্যাচে দশ জয়, দুই ড্র ও সাত হারে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠস্থানে সাইফ। এক ম্যাচ বেশি খেলে নয় জয়, তিন ড্র ও আট হারে ৩০ পয়েন্ট পেয়ে সাইফের পরের অবস্থানে জায়গা পেল রাসেল।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রাতে অনুষ্ঠিত দিনের তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে পুলিশকে। ম্যাচ জিতে ২০ খেলায় এগারো জয়, চার ড্র ও পাঁচ হারে ৩৭ পয়েন্ট পেয়ে মোহামেডানকে পেছনে ফেলে তালিকার চতুর্থস্থানে উঠলো চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৯ ম্যাচে চার জয়, সাত ড্র ও আট হারে ১৯ পয়েন্ট পাওয়া পুলিশের অবস্থান আটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।