নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদার আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বসুন্ধরা কিংস ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মাঠে গড়ানোর মাত্র তিন ঘন্টা আগে বরখাস্ত হলেন জামালের প্রধান কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জামাল-বসুন্ধরা ম্যাচের আগে কোচ মানিক নিজ বাসা থেকে স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ঠিকই, কিন্তু তার আর শেখ জামাল ডাগআউটে দাঁড়ানো হলো না। দুপুর ১টার দিকে ক্লাব থেকে ফোন করে মানিককে জানানো হলো- ‘আর মাঠে যেতে হবে না, আপনার একটা চিঠি আছে’। ব্যাস, তখনি মানিক নিশ্চিত হয়ে গেলেন যে, শেখ জামাল ক্লাবে তার আর চাকরি নেই।
দেশের অভিজ্ঞ কোচদের অন্যতম একজন শফিকুল ইসলাম মানিক। স্বনামধন্য ক্লাব ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তিনি জাতীয় দলের ডাগআউটেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন অভিজ্ঞ একজন কোচকে হঠাৎ বরখাস্ত, তাও আবার দল যখন লিগ রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে। এ খবর মূহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লো দেশের ফুটবলাঙ্গনে। প্রতিক্রিয়া দেখা দিলো সংগঠক থেকে শুরু করে গণমাধ্যম কর্মিদের মাঝেও। অনেককেই বলতে শোনা গেল, এ কেমন তামাশা! গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ শুরুর তিন ঘন্টা আগে প্রধান কোচকে বরখাস্ত করে কি ফায়দা লুটার চেষ্টা করেছেন জামাল কর্মকর্তারা? তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শেখ জামালের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানিকের সঙ্গে ক্লাবের সম্পর্কচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চুন্নু বলেন,‘আজ (সোমবার) সকালে আমাদের ক্লাবের চেয়ারম্যান মনজুর কাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
কি এমন ঘটেছিল, যে কারণে ক্লাব চেয়ারম্যানকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলো? বরখাস্ত হয়ে কোচ মানিকের প্রতিক্রিয়াই বা-কি? এ প্রসঙ্গে মানিক বলেন,‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবো। সেখানেই আমার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে। তবে এখন এটুকু বলবো যে, আজ বাসা থেকে স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে রওনা দিতেই ক্লাব থেকে ফোন পেয়ে বিস্মিত হয়েছি। একজন কর্মকর্তা ফোন করে আমাকে জানালেন, মাঠে যেতে হবে না। আমার চিঠি আছে, বাসায় পাঠাবে কি না। আমি বলেছি, চিঠি ক্লাবেই থাক। সংগ্রহ করে নেব। কি লেখা আছে চিঠিতে তা বলতে পারব না।’
ঘটনা যাই থাক না কেন, জানা গেছে আগের ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে ড্র করায় ক্লাব চেয়ারম্যান নাখোশ ছিলেন কোচের উপর। তারও আগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারের পর শেখ জামাল কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কোচ মানিকের ওপর। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো কোচের বরখাস্তের মধ্যদিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।