পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু বকর ছিদ্দিককে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার অভিযোগে মামলা দায়েরের ১০ দিন পরে আজ দুপুরে র‌্যাব-৮, পটুয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাকে সন্ধ্যায় কলাপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণির ২য় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেড় বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ছিদ্দিকের। কয়েকবার প্রেমের প্রস্তাব দেয়া হয় ওই ছাত্রীকে। এতে রাজি না হলে বিয়ের প্রস্তাবে কৌশলে আবু বকরের নিজ বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া গ্রামে বাবা মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে সোমবার ২৬ জুলাই বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় ঘরে কেউ না থাকায় ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ছিদ্দিক। আত্মরক্ষায় চিৎকার দিলে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে সটকে পড়েন অভিযুক্ত ছিদ্দিক। কিছুক্ষণ পরে পরিবারের সদস্যরা ঘরে এলে তাদের কাছে ঘটনা খুলে বললে ছিদ্দিকের পরিবারের সদস্যরা ওই ছাত্রীকে গালমন্দ করে। পরবর্তীতে কয়েক ঘণ্টা পরে ছিদ্দিক বাড়িতে এসে ওই ছাত্রীকে না চেনার ভান করে।
উপায় না ছাত্রী ৯৯৯ তে কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চায়। রাত ৮ টার দিকে কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৯৯৯ এ কল পেয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয় পটুয়াখালীত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, এবং ২৮ জুলাই কলাপাড়া থানায় কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি প্রায় আটমাস আগে বিলুপ্ত করা হলেও নতুন কোন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক ।