বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে পুলিশের তৎপরতায় হত্যার হাত রক্ষা পেল একটি পরিবার। একইসাথে পুলিশ রুখে দিয়েছে একটি আত্মহত্যাপ্রচেষ্টাও। রূদ্ধশ্বাস এক ঘণ্টা অভিযানের পর ওই পরিবারকে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে এসে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করা সুজন দাশকে (৪২)। তার কাছ থেকে দুইটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। গতকাল রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার পূর্ব গোসাইলডাঙ্গা প্রগতি শিপংয়ের পেছনে মিনু ম্যানশনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার সুজন চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার পূর্ব মেখল আলীপুর গ্রামের সাধন মেম্বারের বাড়ির মৃত সাধন দাশের ছেলে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, ১৩ বছর আগে সুজনের বিয়ে হয় সুতৃষ্ণা দাশের সাথে। এই ঘরে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তারা চট্টগ্রামের আসকার দীঘি এলাকায় থাকেন। সম্প্রতি সুজন আরেক মেয়ের সাথে পরকিয়া করতে গিয়ে স্ত্রীর কাছে ধরা পড়ে যান। এটা নিয়ে দু'জনের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হয়। সর্বশেষ ৩ দিন আগে এ বিষয়ে তুমুল ঝগড়া হলে সুতৃষ্ণা পূর্ব গোসাইলডাঙ্গা মিনু ম্যানশন বাবার বাড়ি চলে আসেন। সুজন বারবার তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বললেও সুতৃষ্ণা বাবার বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হন না। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই সুতৃষ্ণা ও তার বাবা-মাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন সুজন। পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন দুইটি চাপাতি কেনেন। গতকাল রাতে যখন ওই দুই চাপাতি নিয়ে মিনু ম্যানশনের ৫ম তলায় উঠছিলেন তখন তাকে দেখে ফেলেন সুতৃষ্ণা। তাড়াতাড়ি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। সুজন প্রথমে দরজা ধাক্কা দেন। কিন্তু ভেতর থেকে দরজা না খোলায় এলোপাতাড়ি দরজায় কোপাতে থাকেন। এতে দরজা কিছুটা নড়বড়ে হলে ভেতরে আলনা, টেবিল, সোফা দিয়ে দরজা আটকে রাখেন সুতৃষ্ণা ও তার পরিবার। এসময় সেখান থেকে থানায় ফোন দিলে রাত ১১ টা ১০ মিনিটে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। কিন্তু পুলিশকে দেখে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সুজন। এসময় চাপাতি নিয়ে পুলিশের দিকেও তেড়ে আসেন কয়েকবার। এক পর্যায়ে নিজের গলায় চাপাতি ধরেন তিনি! পুলিশ চলে না গেলে নিজেকে 'শেষ ' করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি। অবশেষে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন কৌশলে সুজনকে নিবৃত্ত করে তাকে আটকে সক্ষম হয় পুলিশ। তার কাছ থেকে নতুন কেনা সেই দুই চাপাতিও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টা, হত্যাপ্রচেষ্টা ও হুমকি প্রদর্শনের অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।