নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় পর্বে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার ম্যাচে কেউ জিতেনি। লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী দু’গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে শেখ জামালের সঙ্গে। জামালের পক্ষে গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ড ওমর জোবে ও অধিনায়ক সলোমন কিং একটি করে গোল করেন। আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা ও হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলন্স বেলফোর্ট দু’গোল শোধ দেন। লিগের প্রথম পর্বেও দু’দল একই ব্যবধানে ড্র করেছিল। এই ড্র’তে শিরোপার লড়াইয়ে আরো পিছিয়ে পড়লো আবাহনী।
শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকে গোছালো ফুটবল খেললেও ধীরে ধীরে ছন্দ হারায় আবাহনী। সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথমার্ধেই দু’বার গোল আদায় করে নেয় শেখ জামাল। তবে প্রথম সুযোগটি কিন্তু পেয়েছিল আবাহনীই। ম্যাচের ২২ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার কোনাকুনি শট সোজা জমা পড়ে জামাল গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম মাসুমের গ্লাভসে। এরপরই ঝিমিয়ে পড়ে আবাহনী। নিজেদের গুছিয়ে আক্রমণ সানায় শেষ জামাল। সফলও হয় তারা। ম্যাচের ৩১ মিনিটে আবাহনীর রক্ষণভাগের ভুলে গোল পেয়ে যায় শেখ জামাল। এসময় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের ভুল পাসে বল পান জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলাইমান সিল্লাহ। তিনি নিজে শট না নিয়ে ব্যাক পাস দেন আরেক গাম্বিয়ান অধিনায়ক সলোমন কিংকে। সলোমন বাঁ দিকে পাস দেন তার স্বদেশী ওমর জোবেকে। সেই পাস ধরে জোবে অসাধারণ দক্ষতায় নিখুঁত প্লেসিং শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সেই তিন গাম্বিয়ানের মিলিত প্রচেষ্টায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে শেখ জামাল। ৪৫ মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে ওমর জোবে ব্যাক পাস দেন সিল্লাহকে। সিল্লাহ ডি-বক্সের বেশ বাইরে সলোমনকে বল বাড়িয়ে দিলে তিনি নিচু শট নেন। কিন্তু সলোমনের সেই শট আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের হাত ফসকে জালে জড়ায় (২-০)। প্রচন্ড গরমের কারণে প্রথমার্ধে কুলিং ব্রেক নিতে হয়েছে খেলোয়াড়দের। পরে হালকা বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি ফিরে আসে ফুটবলারদের মাঝে। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া আবাহনী দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল এক শোধ দেয়। ৫২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জুয়েল রানার হাওয়ায় ভাসানো ক্রস চিজোবা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের শটে গোল করেন (১-২)। ৭৭ মিনিটে চিজোবার পেনাল্টি শট ফিরিয়ে শেখ জামালকে জয়ের পথে রাখেন গোলরক্ষক মাসুম। কিন্তু ৮৭ মিনিটে আর পারেননি তিনি। এসময় বাঁ দিক থেকে চিজোবার বাড়ানো ক্রসে গোল করেন বেলফোর্ট (২-২)। এই ড্র’তে শেখ জামাল ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। আবাহনী ১৯ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় স্থানে থাকলেও সমান ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।