বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ক্যাম্প ছেড়ে কাজের সন্ধানে বাইরে আসছে রোহিঙ্গারা। গত একমাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে ৩৭০ জন। চলমান কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে রামু উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপন করা অস্থায়ী চেকপোস্টে তাদের আটক করা হয়। দায়িত্বরত চৌকিদার, রোভার স্কাউটস, বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর হাতে গেল কয়েক সপ্তাহ ব্যবধানে আটক হয়েছেন ৩৭০ রোহিঙ্গা। কাজের সন্ধ্যানে তারা ক্যাস্প থেকে এভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে রামুতে দফায় দফায় রোহিঙ্গা শরণার্থী আটকের এই ঘটনা ঘটেছে। গেল ৭ জুলাই ৪ আগস্ট পর্যন্ত সর্বমোট ৯ দফায় রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা, ফতেখাঁরকুল, রশিদনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩৭০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, রশিদনগর ইউনিয়নের প্রবেশমুখ, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বাইপাস ফুটবল চত্বর থেকে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে আটক হওয়া উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের ২ নং ক্যাম্প এলাকার নুর কাছেমের পুত্র মাহমুদুর রহমান জানান, তারা ক্যাম্পে পর্যাপ্ত খাবার আর নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাচ্ছেন না। তাই তারা নিরুপায় হয়ে পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে অধিক টাকা রোজগারের আশায় ক্যাম্প ছেড়ে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। যদিও তারা স্বীকার করেছেন ‘ক্যাম্প ছেড়ে আসাটা অন্যায় হয়েছে’।
তারা প্রায় সময় কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও চটগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাটির জোগালি, ধান রোপনসহ বিভিন্ন কাজ করছিল, লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ হওয়াতে তারা ক্যাম্পে যাত্রা করেন। আবার কেউ কেউ কাজের সন্ধানে ক্যাম্প থেকে ওই এলাকার উদ্যেশে যাত্রা করেন। কাজ শেষে অবশ্য তারা আবার ক্যাম্পে ফিরে যায় বলেও জানান তিনি। জানা যায়, গত জুলাই মাসে প্রর্যায়ক্রমে সর্বমোট ২৮৯ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী আটক করা হয়। সর্বশেষ আগস্ট মাসে ৩৭০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উপজেলার বিভিন্ন স্থান হতে আটক করা হয়। তাছাড়া ৩৭০ জনের মধ্যে ৮০% রোহিঙ্গা জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান হতে আটক করা হয়। রামু উপজেলা ও ঈদগাঁও উপজেলার কতিপয় দালাল মিডিয়া হিসাবে কাজ করে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে নিয়োগ করে তাকে। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন সময় এই রোহিঙ্গাদের নানা অপকর্মে লিপ্ত করারও অভিযোগ রয়েছে। রামুর স্থানীয় বাসিন্দা অধ্যাপক নীলোৎপল বড়–য়া জানান, প্রতিবার রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে আসতে পারার কারণ হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা। পাশাপাশি স্থানীয় অনেক বাসিন্দা এখানে জড়িত। বর্তমানে এই দেশে নাগরিক হয়ে গেছে এমন অনেক রোহিঙ্গারা এটির সঙ্গে জড়িত বলেও জানান তিনি। কিভাবে এতো রোহিঙ্গা শরণার্থী নিরাপত্তা চৌকির চোখ ফাঁকি দিয়ে রামুসহ লোকালয়ে প্রবেশ করছেন জানতে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াত এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকার পরেও কিভাবে তারা ক্যাম্প থেকে বের হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনয় চাকমা জানান, আটক রোহিঙ্গাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আবার তাদের অনেককেই জরিমানা আদায় করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।