মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। ২০২০ সালের প্রায় পুরোটাই স্থাবির ছিলো অর্থনৈতিক কার্যক্রম। চলতি বছরও খুব একটা উন্নতি নেই। ঢিমেতালে চলছে পর্যটন, শিল্পকারখানার, ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে এবারও এগিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি ঘোষণা দিয়েছে, মহামারির ক্ষতি কাটাতে নিজস্ব জরুরি তহবিল থেকে ৬৫ হাজার কোটি ডলার অর্থ উত্তোলন করবে এই ঋণদাতা সংস্থা। এরইমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে এতো মোটা অঙ্কের অর্থ উত্তোলনের প্রস্তাব। আইএমএফ’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ঋণ করোনা মহামারিতে আকাশ ছুঁয়েছে। সদস্য দেশগুলোর অর্থনীতি স্থিতিশীল করতেই মূলত এ পদক্ষেপ নিয়েছে আইএমএফ।
আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এক বিবৃতিতে জানান, তারল্য সঙ্কট কাটাতে আইএমএফ‘র পরিচালনা পর্ষদ থেকে ৬৫ হাজার কোটি ডলার অর্থ উত্তোলনের প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির এ ক্রান্তিকালে এমন উদ্যোগকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করেছেন তিনি।
২৩ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে এ প্রস্তাব। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অনেক দেশই এ পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। প্রস্তাবের অনুমোদন দিতে দেরি হয়েছে এক বছর। সমালোচকেরা বলছেন, এ অর্থছাড় করা হচ্ছে আইএমএফ’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ধনী দেশগুলোকে সহায়তা দিতে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলছে, জরুরি এ তহবিল থেকে আইএমএফ’র সদস্য ১৯০টি দেশ কোটার ভিত্তিতে পাবে সহায়তা। এর মধ্যে অর্থের ৫৮ শতাংশ বা ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার যাবে উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে। ৪২ শতাংশ বা ২৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার যাবে উন্নয়নশীল আর নিম্নআয়ের দেশগুলোতে। আইএমএফ আরো জানায়, সদস্য দেশগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সব দেশে অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। সেইসাথে এটাও নিশ্চিত করা হবে যে, করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত গরীব দেশগুলো যেন পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা পায়।
৭৫ বছর ধরে আর্থিক সহযোগিতার প্রধান বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান আইএমএফ -এর মোট সম্পদ প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু এর সম্পদ তার সদস্যদের আন্তর্জাতিক মজুদে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। আইএমএফ সদস্য দেশগুলোর অন্যান্য রিজার্ভ সম্পদের সম্পূরক হিসেবে ১৯৬৯ সালে এসডিআর তৈরি করেছিল। এসডিআর বা স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস এমন একটি আন্তর্জাতিক তহবিল, যেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে সদস্য দেশগুলোকে অর্থ সহায়তা দেয়া যায়। এখানে মার্কিন ডলার, ইউরো, ইয়েন, ইউয়ান আর স্টার্লিং জমা থাকে।
অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলো ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। কিন্তু অন্য দেশগুলোর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ বলছে, এর পেছনে মূল কারণ করোনার টিকার সহজলভ্য না হওয়া। সূত্র : সিআরআই, ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।