যতই দিন যাচ্ছে ততই পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা
করোনার হটস্পট হয়ে যাচ্ছে। আজ ২ জুলাই দুপুরে এবং গতকাল নিয়ে ২ দিনে ৬৭ জন
করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এদিকে আজ সকাল ১০ টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় বাউফল উপজেলা হাসপাতালে নার্গিস আক্তার(৩০) নামে এক মহিলা মারা যান। মৃত নার্গিস আক্তার নওমালা ইউনিয়নের নিজ বটকাজল গ্রামের মোঃ ফোরকান হাওলাদারের স্ত্রী। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই তাকে চিকিৎসা শুরুর একপর্যায়ে নার্গিস আক্তার মারা যায় পরবর্তীতে নমুনা নেওয়া হলে
করোনা পজেটিভ শনাক্ত হন বলে জানিয়েছেন বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার প্রশান্ত কুমার সাহা জানান,
করোনা শুরুর পর থেকে ২০২০ সালে ১৬৫ জন
করোনা শনাক্ত হয় এবং মারা যান ৭ জন। এদিকে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আজ ২ আগষ্ট দুপুর পর্যন্ত বাউফল উপজেলায় ৪৫৭ জন
করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন, এবং মারা গেছেন ৬ জন। এদিকে শুধুমাত্র গত মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত বাউফল উপজেলায়
করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯২ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন। উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২২জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো জানান, বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
করোনা আক্রান্তদের জন্য প্রথম ৫ বেড দিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করা হয়। পরবর্তীতে জুলাই মাসে
করোনা রোগী বাড়তে থাকলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ এ উন্নীত করা হয়। বেড সংখ্যা বাড়ানো হলেও
করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংখ্যা ২০ এ উন্নীত করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
করোনা ওয়ার্ডে ২০জন রোগী ভর্তি থাকায় সার্জারি ওয়ার্ডের বেড এনে রোগীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে,সার্জারি ওয়ার্ডের রোগীদের মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।তিনি আরো জানান,
করোনা উপসর্গ নিয়ে যারা নমুনা দিতে আসেন রেপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক
করোনা রোগীদের চিহ্নিত করে যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদেরকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাউফল উপজেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম না থাকায় ৬২ টি সিলিন্ডারের মাধ্যমে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়ে থাকে।