বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এতে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছেই। গুচ্ছ সংক্রমণের সাথে সামাজিক সংক্রমণও হচ্ছে। মহানগরী ও জেলার ১৪টি এলাকায় এ পর্যন্ত ২৭ রোগী সনাক্ত হয়েছে। সামাজিক সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে নগরীর পাহাড়তলী-সাগরিকা এবং সাতকানিয়া উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এ উপজেলা পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে নগরীর নয়টি এলাকায় ১৬ জন এবং জেলার পাঁচটি এলাকায় ১১ জন। তাদের মধ্যে তিন জন মারা গেছেন। বাকিরা আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) চিকিৎসাধীন।
নগরীর পাহাড়তলী সরাইপাড়ায় একই পরিবারের পাঁচ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া পাশের সাগরিকা, সিডিএ মার্কেট, কাট্টলী ও হালিশহরে আক্রান্ত পাঁচ জন। স্বাস্থ্য বিভাগ ওই পুরো এলাকাকে সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলছে। আক্রান্তদের বাড়িঘরসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি লকডাউন হয়েছে।
এছাড়া নগরীর দামপাড়া এক নম্বর গলিতে পিতা-পুত্র দুই জন, পুলিশ লাইনে এক পুলিশ সদস্য, ফিরিঙ্গি বাজার, কাতালগঞ্জ ও গোলপাহাড় এলাকায় এক জন করে রোগী পাওয়া গেছে। কাতালগঞ্জে করোনা সনাক্ত হওয়া ব্যক্তি চিকিৎসক। তিনি বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। জানা গেছে, নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে তার মধ্যে সংক্রমণ হয়।
সাতকানিয়ার দুটি এলাকায় সর্বোচ্চ আট জন সনাক্ত হয়। তাদের দুই জন পৌর এলাকায় এবং ছয় জন পশ্চিম ঢেমশার আলী পাড়ার। সেখানে এক বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পটিয়াতেও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সীতাকুন্ড এবং বোয়ালখালীতেও এক জন করে রোগী পাওয়া গেছে।
এদিকে দেশে করোনায় যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের সাত জনই চট্টগ্রাম বিভাগের। চট্টগ্রামের তিন জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই জন এবং নোয়াখালী ও কুমিল্লায় এক জন করে মারা গেছেন। বিভাগে এ পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ৬১, সুস্থ হয়েছেন এক জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।