মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মানুষের প্রাণহানি রোধ ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে করোনা ভ্যাকসিন যেমন প্রশংসার দাবিদার তেমনি কিছু ওষুধ কোম্পানিও যথেষ্ট ফায়দা অর্জন করছে।
বিশ্লেষকরা অনুমান করেছিলেন যে, এ বছর জুন মাসে ভ্যাকসিনের বিশ্বব্যাপী মূল্য ৭০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে, কিন্তু এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে, কারণ করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক চলছে মানুষের বুস্টার ডোজ লাগবে কিনা। ভ্যাকসিন তৈরিতে মার্কিন সরকারের অর্থায়নপ্রাপ্ত মডার্না দ্বিতীয় প্রান্তিকে কতটা ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তা আগামী বৃহস্পতিবার প্রকাশ করবে। তারা মে মাসে ভ্যাকসিন থেকে ১৯.২ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব প্রাপ্তির পূর্বাভাস দিয়েছিল, কিন্তু সে অনুমান এ সপ্তাহে বাড়তে পারে।
এদিকে বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে অর্থাৎ তিন মাসে ৭.৮ বিলিয়ন ডলারের কোভিড ভ্যাকসিন বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে ফাইজার। বুধবার দেয়া এক ঘোষণায় কোম্পানিটি জানিয়েছে, এ বছরের শেষ নাগাদ ৩৩.৫ বিলিয়ন ডলারের ভ্যাকসিন বিক্রি করবে বলেও তারা আশা করছে। এর আগে ২০২১ সালে ২৬ বিলিয়ন ডলারের বিক্রি হতে পারে বলে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিশ্বজুড়ে কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেয়ার পক্ষে মত দিতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে সামনে ভ্যাকসিনের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা বলেন, বছরেরর দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ছিল অসাধারন। আমরা বায়োএনটেকের সঙ্গে মিলে বিশ্বজুড়ে কোভিড মোকাবিলায় গতি বৃদ্ধি করেছি এবং সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছি। বিশ্বজুড়ে এক বিলিয়নেরও বেশি ফাইজার ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়া ফাইজারের অন্য ব্যবসাগুলোতেও ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনকোলজি শাখা থেকে এ বছর আয় বেড়েছে ১৯ শতাংশেরও বেশি। হাসপাতাল শাখায় আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। এছাড়া এর আভ্যন্তরীণ ওষুধ শাখার আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ। ফাইজার এখন এর বুস্টার ডোজের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। এখনও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুস্টার ডোজের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়নি। যদিও মার্কিন শীর্ষচিকিৎসা বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, যেসব মার্কিন নাগরিকের প্রতিরোধক্ষমতা আছে, তাদের তৃতীয় ডোজ লাগবে না। আর এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ভালো করছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ফাইজার-বায়োএনটেকের কাছ থেকে ২০ কোটির বেশি টিকা কিনেছে। এ টিকা শিশুদের দেয়া হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আরেক ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন এ বছর ২.৫ বিলিয়ন ডলার ভ্যাকসিন বিক্রির পূর্বাভাস দিয়েছে। আর মডার্না পূর্বাভাস দিয়েছে ১০.২ ডলারের ভ্যাকসিন বিক্রির। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, সিএনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।