Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ

অভিযোগ ফুড কার্ডে অনিয়ম

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ১:১২ পিএম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাবার (ফুড) কার্ডকে কেন্দ্র করে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড পুরাতন রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ করছে। তারা অভিযোগ করেছে রেশনকার্ড, খাবার বিতরণে অনিয়মের।
গত কয়েকদিন ধরে চেপে থাকা ক্ষোভ তারা প্রতিবাদের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। ক্ষোভে শুধু পুরুষেরা নয়, এবার নারীরাও অংশগ্রহণ নিতে দেখা গেছে।

রবিবার (১ আগষ্ট) ভোর থেকেই পুরাতন রোহিঙ্গারা নয়াপাড়া ক্যাম্পে বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করে। তবে, বিক্ষোভ থামাতে স্থানীয় প্রশাসনসহ এপিবিএন সদস্যরা শক্ত অবস্থান রয়েছে।

এদিকে, হঠাৎ রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের কারণ ও অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা গেল অনেক তথ্য। স্থানীয়রা জানিয়েছে, নয়াপাড়া রেজিঃ ক্যাম্পে পুরাতন (১৯৯২ সালে আগত) ও নতুন (২০১৭ সালে আগত) রোহিঙ্গারা বসবাস করে। পুরাতন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড নতুন রোহিঙ্গাদের ফুডকার্ডের চেয়ে পরিমানে ভিন্ন। সব রোহিঙ্গার মাঝে সমপরিমাণ খাবার বিতরণের জন্য পুরাতন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড ফেরত নিয়ে গত মাসে নতুন ফুড কার্ড ইস্যু করা হয়। নতুন ফুড কার্ড অন্যান্য ক্যাম্পের সমসাময়িক (২০১৭ সালে) আগত নতুন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ডের অনুরূপ হওয়ায় নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গারা অদ্যাবদি নতুন ফুড কার্ড গ্রহণ করে নাই। এমনকি তারা জুলাই মাসের রেশন উত্তোলন করে নাই।
নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গাদের দাবি, নতুন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড এবং তাদের ফুড কার্ড একইরকম হওয়াতে সমান মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তারা কোন ভাবেই এটা মেনে নেবে না।
অন্যদিকে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিস ও ইউএনএইচসিআর অফিস তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বলে অভিযোগ রোহিঙ্গাদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ফুড কার্ডকে কেন্দ্র করে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন তারা এনিয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে তাদের এপিবিএন ক্যাম্পে ডেকে বোঝানো হয় এবং তারা তা মেনে নেয়।

এ বিষয়ে সিআইসি এবং ইউএনএইচসিআরের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

তবে, রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের পেছনে একটি চক্র উস্কানি দিচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা। তিনি বলেন, ওদের ছোট একটা গ্রুপ আছে। তারা পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে। তাদের বের করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে প্রশাসন শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ