Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উপদ্রুত এলাকায় কাজ করছেন সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

জঞ্জাল পরিষ্কার এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামতে জার্মানির বন্যা উপদ্রুত শহরগুলোতে ছুটে যাচ্ছে সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা। নিজেদের জন্মভ‚মির বিপর্যয়কর পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাদের আশ্রয়দাতা দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পাওয়া স্বেচ্ছাসেবীরা। রয়টার্স জানিয়েছে, ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় গত মাসে জার্মানির একটি অংশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মারা যায় কমপক্ষে ১৮০ জন। এই বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে পুনর্গঠন কাজে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নেমে পড়েছে সিরিয়ার অভিবাসী দল। সিরিয়ান ভলান্টিয়ারস ইন জার্মানি নামের স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীর সহ-সংগঠক আনাস আলাককাদ বলেন, যখন বন্যার কারণে বিপর্যয় হয়েছে, তার নিজ বাড়ির কথা মনে পড়ে গেছে। “জার্মানি সম্পর্কে আমরা যেটা জেনে এসেছি, দেশটি খুবই গোছানো, খুব সুন্দর, খুবই সবুজ। আর এরপর এই বন্যায় বিপর্যস্ত অঞ্চল, আমাদের মনে হয়েছে আমরা যেনো সিরিয়ায় ফিরে গেছি।” জার্মানির পশ্চিমের জেলা আহরভাইলারে সহায়তার কাজ করছেন তিনি। আনাস বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে এটা হতে পারে না। আমাদের অবশ্যই কিছু করা উচিত। আর এটাই আমাদের উৎসাহিত করেছে।” স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তাদের শত শত স্বেচ্ছাসেবী বন্যায় বিপর্যস্ত জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে সাহায্য করছে। মৌয়াইয়াদ আবেদেলবি, আহরভাইলারে বসবাসকারী একজন সিরীয় স্বেচ্ছাসেবী, জানান, বন্যায় তার অ্যাপার্টমেন্ট বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবেশি এবং আমাদের একটি দশা। আগেও আমরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, এবং এখন আবার সেটা অনুভব করছি। কিন্তু দিনের শেষে আমরা এখানে এসেছি সাহায্য করতে, এবং জার্মানদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা সবকিছু মেরামতের কাজ করছি।” আহরভাইলারের স্থানীয় বাসিন্দারা এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। সেখানকার স্থানীয় এক বাসিন্দা এলকে তেলপোরতেন বলেন, “তারা খুবই দ্রুত কাজ করে এবং পরিশ্রমী এবং কীভাবে পুনর্গঠন করতে হবে সে বিষয়ে তাদের বিস্তর ধারণা রয়েছে। এটা দারুন।” সেপ্টেম্বরের জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে এই বন্যা সেখানকার রাজনৈতিক এজেন্ডা পাল্টে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে কেনো ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ এ ধরনের প্রস্তুতিহীন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো। গত সপ্তাহে জার্মানির প্রভাবশালী পত্রিকা বিল্ডের একটি জরিপে দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ নাগরিক বিশ্বাস করে যে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নীতি নির্ধারকদের আরও বেশি কিছু করণীয় রয়েছে সম্প্রদায়গুলোকে বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জার্মানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ