Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীমান্তে ফের উত্তেজনা, রাশিয়াকে সেনা পাঠাতে অনুরোধ আর্মেনিয়ার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২১, ১২:১৯ পিএম

আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তে আবারও শুরু হয়েছে উত্তেজনা। দুইপক্ষেই শুরু হয়েছে মারণাস্ত্রের ব্যবহার। সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই আর্মেনিয়ার তিন সেনা প্রাণ হারিয়েছে। ফলশ্রুতিতে রাশিয়াকে সেনা পাঠাতে অনুরোধ করেছে আর্মেনিয়া।

কিছুদিন আগেই নাগর্নো কারাবাখ নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। তারপর রাশিয়ার হস্তক্ষেপে যুদ্ধ বন্ধ হলেও উত্তেজনা কমছে না। সীমান্তে আবার গোলাগুলি চলেছে। আর্মেনিয়ার তিন সেনা নিহত হয়েছেন। আজারবাইজানের কয়েকজন সেনাও আহত হয়েছে।

এরপরেই বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনয়ান রাশিয়াকে সীমান্তে সেনা পাঠাতে অনুরোধ করেন। তবে রাশিয়া সেই অনুরোধ মেনে সেনা পাঠায়নি। তবে তাদের উদ্যোগের ফলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দুই দেশ মেনে নেয়।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেছেন, ''আমার মনে হয়, সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্ত জুড়ে রাশিয়ার সেনা পোস্ট থাকুক।''

পাশিনয়ান মনে করছেন, রাশিয়ার সেনা সীমান্তে থাকলে আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘর্ষ হবে না। সীমান্তও চিহ্নিত থাকবে। কিন্তু তার প্রস্তাবে ক্রেমলিন এখনো সাড়া দেয়নি। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত বছর নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে ছয় সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চলছিল দুই দেশ। এতে প্রায় সাত হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। অবশেষে মস্কোর উদ্যোগে শান্তিচুক্তি হয়। আজারবাইজানকে অনেকটা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় আর্মেনিয়া। এরপর আর্মেনিয়ার নির্বাচনে আবার জিতে এসেছেন পাশিনয়ান। কিন্তু আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার উত্তেজনা কমেনি। সূত্র : এপি, এএফপি



 

Show all comments
  • Adib Mallick ৩০ জুলাই, ২০২১, ২:২৯ পিএম says : 0
    যুদ্ধ সংঘাত শুরু হয়েছে তৃতীয় কোন দেশের উস্কানিতে এবং সমর্থনে।এ লড়াই কবে থামবে তা নির্ভর করছে পর্দার আড়ালে যারা কলকাঠি নাড়ছে সেই সব রাষ্ট্রের উপর।
    Total Reply(0) Reply
  • Hasan Mahmud ৩০ জুলাই, ২০২১, ২:৩০ পিএম says : 0
    যুদ্ধে মৃত্যু আর ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু দীর্ঘ স্থায়ী শান্তির জন্য কখনো কখনো যুদ্ধের প্রয়োজন। যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের পর দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যে শান্তির সীমারেখা টেনে নেয়। নিজেদের ন্যায্য অধিকার, দেশপ্রেম, আর্ত্নমর্যাদা আর পরবর্তী জেনারেশন নিরাপদে বসবাসের জন্য যুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম।
    Total Reply(0) Reply
  • Uzzal Kanti Datta ৩০ জুলাই, ২০২১, ২:৩০ পিএম says : 0
    ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত আর্মেনিয়াকে আজারবাইজানের ভূমি হস্তান্তর জন্য চাপ প্রয়োগ করা। দখলকৃত ভূমি না ছাড়লে স্থায়ী শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানো সহজ হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Moniruzzaman ৩০ জুলাই, ২০২১, ২:৩১ পিএম says : 0
    আজারবাইজানের উচিৎ যেকোনো ভাবে হোক এই জায়গা দখল মুক্তো করা।
    Total Reply(0) Reply
  • M. A. Hasan ৩০ জুলাই, ২০২১, ২:৩২ পিএম says : 0
    নিজেদের ভূ-খন্ডকে শত্রুমুক্ত করা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যে কোন দেশের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। সে হিসেবে আজারবাইজান সঠিক কাজ করছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আর্মেনিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ