বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লকডাউনে যান চলাচল বন্ধ। এতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। তাদের এই সমস্যা সমাধানে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নগরীর ডবলমুরিং থানা। রোগীদের জন্য ব্যবস্থা করেছে এম্বুল্যান্স ও সিএনজি অটোরিকশা। রোগীরা চাইলেই এসব গাড়ি ব্যবহার করে হাসপাতালে যেতে পারবেন। এজন্য কোন টাকাও লাগবেনা। পুরো সেবাটিই বিনামূল্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে ডবলমুরিং থানা প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধনের করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (পশ্চিম) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ। এসময় অতিরিক্ত উপ কমিশনার পংকজ দত্ত, সহকারি কমিশনার মোঃ মাহামুদুল হাসান মামুন, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন, পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ বলেন, 'যান চলাচল বন্ধ থাকায় রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন। সামর্থ্যবানেরা এম্বুল্যান্স ডেকে যেতে পারলেও বিপাকে পড়েছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তাদের সবার কথা বিবেচনা করেই আমাদের এই বিনামূল্যে পরিবহন সেবা।'
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, করোনায় রোগীদের পরিবহন সঙ্কট নিরসনে ডবলমুরিং থানার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। থানার এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়ান মাশরাফুল ইসলাম শাকিল। তিনি একটি এম্বুলেন্স প্রদান করেন। এরপর একে একে পাশে দাঁড়ায়
সামাজিক সংগঠন ধনিয়ালাপাড়া বন্ধু মহল, মুহুরীপাড়া এলাকার ডলফিন ক্লাব, সিডিএ আবাসিক এলাকার আর.এস.কে ক্লাব, আগ্রাবাদের এস এস ট্রেডিং, পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ার সায়মা প্রোপার্টিজ এবং পাঠানটুলি খান বাড়ির মোঃ আসাদ খান। তারা প্রত্যেকেই রোগী পরিবহনে একটি করে সিএনজি প্রদান করেন।
বিনামূল্যে এই পরিবহন সেবা ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে। ০১৩২০০৫২৭৪৯ নাম্বারে ফোন করলেই গাড়ি বাসার সামনে এসে নিয়ে যাবে। আবার হাসপাতাল থেকে বাসায়ও পৌঁছে দিবে। আপাতত ডবলমুরিং থানা এলাকার মধ্যেই এই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে রোগীর অবস্থা বিবেচনায় বাইরেও এই সেবা প্রদান করা হবে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকা পর্যন্ত সিএনজির সেবা পাওয়া যাবে। কিন্তু এম্বুল্যান্স সেবা অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।