Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

করোনা মোকাবেলা ও সেরা সিএসআর ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২১, ৬:৩৯ পিএম

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এ, করোনা মহামারী চলাকালীন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণকারী সেরা ব্যাংক এবং দেশের সেরা সিএসআর ব্যাংক-এর মর্যাদা লাভ করেছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির ধারা অব্যাহত রেখে, গত বছর এই কোভিড পরিস্থিতিতেও ২৫ টি উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ব্যাংকটি। ব্যাংকটি ২০২০-এর সর্বোচ্চ সিএসআর ব্যয়কারী ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আন্তর্জাতিক ব্যাংকের স্বীকৃতি অর্জন করে। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরী সহায়তা প্রদান, জীবিকা পুনর্গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে ২০২১ সালের জন্য প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ (১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) টাকার স্ট্র্যাটেজিক কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের ঘোষণা দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “বর্তমান মহামারী মোকাবেলায় সকলের উচিত জনসাধারণের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করতে এগিয়ে আসা। এই দুটি সমস্যাই সমানভাবে সমাধান করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ আমাদের জনসাধারণের পাশে অটলভাবে দাঁড়িয়ে আছে যাতে তারা তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে একটি দীর্ঘমেয়াদী সফলতার মুখ দেখতে পায়।“

তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই প্রচেষ্টার কারণে প্রাপ্ত স্বীকৃতি পেয়ে আমরা আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। তবে, দায়িত্বের এখনো অনেকাংশই বাকি। তাই আশা করছি আমাদের পাশাপাশি অন্যান্যরাও এমন উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসবেন, যাতে একসাথে আমরা দেশের এই পরিস্থিতিতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারি।“

এই মহামারীর সময় নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সমগ্র বাংলাদেশের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণের পাশে থাকার লক্ষ্য অটুট রেখেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ডেভেলপমেন্ট সেক্টর পার্টনারসদের সাথে নিয়োজিত আছে। ব্যাংকটি করোনা আক্রান্ত মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং প্রথমসারীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও পাশে রয়েছে। ব্যাংকটি ইউসিইপি বাংলাদেশ-এর সাথে এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে দেশের সেই সব মানুষের দক্ষতা বিকাশ এবং কর্মশক্তি পুনর্জীবিত করার কাজ করা হচ্ছে যারা এই মহামারীর আঘাতে জীবিকা হারিয়ে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনকি প্রণোদনা প্যাকেজের নীতি হওয়ার আগে থেকেই ব্যাংকটি তার ক্লায়েন্টদের অর্থ পরিশোধের সময়সূচী নিয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। ব্যাংকটি লোন এক্সটেনশন-এর সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্লায়েন্টদের বেতন ও মজুরী পরিশোধের সুবিধা করে দেয়। এছাড়াও ব্যাংকটি ৬৩,০০০ কর্মীর জন্য ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্ট-এর প্রচলন করে এবং এই অনিশ্চয়ক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ের সুবিধার্থে ইউনিক ফাইন্যান্সিং প্রোগ্রাম চালু করে।

ব্যাংকের সাম্প্রদায়িক পদক্ষেপসমূহ বহু বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন উন্নয়নে অবদান রেখেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ বৈষম্য দমন; স্বাস্থ্যসেবার সহজলভ্যতা সৃষ্টি; পুঁথিগত এবং আর্থিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত; কৃষি উদ্ভাবনে সমর্থন; ইতিবাচক সামাজিক রূপান্তরের চালক হিসাবে ক্রীড়া, শিল্পে ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখা; এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ