বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জের অজপাড়াগাঁয়ের এক মেয়ে নাঈমা জান্নাত (৩৩)। সহজ-সরল এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে বিয়ে করে পাড়ি জমান প্রবাসে। সব স্বাধ আহলাদ মিটিয়ে নেন ৪ বছর সংসারে। তারপর স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে ঘর ছাড়েন পরকীয়া প্রেমিকের সাথে। দীর্ঘ এ সময়ে বদলে গেছেন তিনি। চেহারা সুরতে, চলাফেরায় অজপাড়াগাঁয়ের সেই লাজুক মেয়ে এখন পুরোদমে অন্য এক নারী। নাচতে যেয়ে ঘোমটা খুলেছেন পুরোপুরি। এখন তার পরিচয় ‘টিকটক কন্যা’ নাঈমা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে বহুরূপী নাম ও অশ্লীল ছবি দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। এই একাউন্ট দিয়ে টার্গেট করে ছেলেদের ফাঁদে ফেলেন তিনি। বয়ফ্রেন্ড জুটিয়ে মজা নেয়াই তার নেশা। রাত-বিরেতে ঘুরেন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ক্লাব ও বারে। এখন বেহিসেব বয়ফ্রেন্ড তার। তারর্পও পিছ ছাড়ছেন না প্রাক্তন স্বামী আব্দুস সাজাদের। তাকে নানাভাবে নির্যাতন করছেন তিনি। নিজের থেকে ডিভোর্স নেয়ার পরও প্রায়ই দাবি করেন ‘ক্ষতিপূরণ’। তবে প্রাক্তন স্বামী তার উপর মানহানি ও প্রতারণা মামলা করায় তিনি এখন যুক্তরাজ্যে আত্মগোপনে আছেন। তাকে খুঁজছে সে দেশের পুলিশ। এমন অভিযোগ, তথ্য দিয়েছেন সাবেক স্বামী সাজাদ।
নাঈমার বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ এলাকার দিঘীরপাড় গ্রামে। ওই গ্রামের বদর উদ্দিন ও সুফিয়া বেগমের মেয়ে তিনি। ২০১২ সালের ৩০ জুলাই পারিবারিকভাবে নাঈমার বিয়ে হয় যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুস সাজাদের সঙ্গে। আব্দুস সাজাদের বাড়িও নবীগঞ্জে। নাঈমাকে বিয়ে করার পর ৭ মাস দেশে অবস্থান করেন সাজাদ। যুক্তরাজ্যে ফিরেই শুরু করেন প্রিয়তমা স্ত্রীকে কাছে (সে দেশে) নেয়ার প্রসেসিং। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যুক্তরাজ্যে নিয়ে যান নাঈমাকে। সেখানে নাঈমাকে নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করান বিভিন্ন লার্নিং কোর্স- শেখান ড্রাইভিং। স্ত্রীর প্রতি সবটুকু ভালোবাসা উজাড় করে দিয়ে পূরণ করেন তার সব চাহিদা। কিন্তু এমন সুখ সইছিলো না নাঈমার। স্বামী দিনভর কাজে থাকার সুযোগে জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়। সে দেশে থাকা মৌলভীবাজারের ‘বাবজি’ নামের এক ছেলের সঙ্গে ২০১৭ সালে গড়ে তুলেন অবৈধ সম্পর্ক। স্বামীকে লুকিয়ে দিনভর চুটিয়ে প্রেম করতেন তিনি। এমনকি মাঝে-মধ্যে মামার বাসায় যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন হোটেলে প্রেমিকের সঙ্গে রাতও কাটাতেন নাঈমা। আব্দুস সাজাদের অভিযোগ- নাঈমা এসব করতেন যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তার মামাতো ভাই-বোন এবং দেশে থাকা নিজের বোন ও দুলা ভাইয়ের প্ররোচনায়। অবশেষে ২০১৮ সালের এপ্রিলে স্বামীর প্রতি নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে সে দেশের নিম্ন আদালতে ডিভোর্স চান নাঈমা। নিম্ন আদালত নাঈমার পক্ষে রায় দিলে আব্দুস সাজাদ যান উচ্চ আদালতে। উচ্চ আদালত নাঈমার নির্যাতনের অভিযোগ খারিজ করে ২০২০ সালের মে মাসে কার্যকর করেন তার ডিভোর্স আবেদন। আদালত ডিভোর্সের রায় দেয়ার আগেই ২০১৮ সালে নাঈমা আব্দুস সাজাদকে ছেড়ে চলে যান পরকীয়া প্রেমিক ‘বাবজি’র কাছে। পরবর্তীতে নাঈমার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে মানহানি ও প্রতারণা মামলা করেন সাজাদ। এরপর থেকে নাঈমা ও তার বর্তমান স্বামী সে দেশে আত্মগোপনে রয়েছেন। নাঈমার বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্বামী আব্দুস সাজাদের হাজারো অভিযোগ। তিনি বলেন- ‘কোনো একজন নারীকে বিয়ে করে শুধু স্ত্রী হিসেবেই রাখে না, জীবনের অর্ধাঙ্গিনী করে। সবকিছু উজাড় করে ভালোবেসেছিলাম তাকে। কিন্তু সে ওই ভালোবাসার মূল্য দেয়নি। আমার সঙ্গে প্রচণ্ড প্রতারণা করে জড়িয়ে পড়ে পরকীয়ায়। পরকীয়ায় অন্ধ হয়ে আমার প্রতি নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে চলে যায় প্রেমিকের সাথে। একজন মুসলিম মেয়ে হয়েও চলাফেরা করে ওয়েস্টার্ন কালচারে। দেশে ও যুক্তরাজ্যে অনলাইনে-অফলাইনে তার অনেক বয়ফ্রেন্ড। রাত-বিরেতে সে ঘুরে বেড়ায় এ দেশের ক্লাব ও বারে। নেশায় হয়ে পড়ে বুঁদ। ’
প্রবাসীদের সতর্কতার পরামর্শ দিয়ে আব্দুস সাজাদ বলেন, ‘আমি সকল প্রবাসীকে বলবো- তারা যাতে বিয়ে করার আগে মেয়ের চারিত্রিক ব্যাকগ্রাইন্ড, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং বংশ মর্যাদা ভালো করে যাচাই করে বিয়ে করেন। তবে আব্দুস সাজাদের এসব অভিযোগের বিষয়ে নাঈমা জান্নাতের ভাই মাসুম আলম বলেন, সব মিথ্যা। ডিভোর্সের পরে তাঁর (আব্দুস সাজাদের) আর কোনো অভিযোগ কেন থাকবে ? সাজাদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে মাসুম বলেন, মিথ্যা অভিযোগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।