জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ‘শত্রুর লক্ষ্যে’ হামলা চালানোর জন্য রাশিয়ার নৌবাহিনী প্রস্তুত বলেও রোববার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন। সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ যুদ্ধজাহাজের এক প্য়ারেডে অংশ নিয়ে এই কথা বলেন তিনি। ক্রাইমিয়ার জলসীমার কাছে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ নিয়ে লন্ডন ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। দখলকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের পাশে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কয়েক সপ্তাহ পর পুতিন এই প্রতিক্রিয়া জানালেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন রুশ নৌবাহিনীর এখন এর সবকিছুই রয়েছে। পানির নীচে ও ওপরে যেকোনো কিছু, এমনকি আকাশেও শত্রু চিহ্নিত করা এবং প্রয়োজনে অপ্রতিরোধ্য হামলা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’জুন মাসে কৃষ্ণসাগরে রুশ ও ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ বেশ কাছাকাছি চলে আসে। রাশিয়ার বক্তব্য, ক্রাইমিয়ার জলসীমায় ঢুকে পড়ার পর ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজকে সতর্কতামূলক গুলি ও বোমা ছুঁড়ে সেখান থেকে সরতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে ব্রিটিশ সরকার অবশ্য ঘটনার ভিন্ন বিবরণ দিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে যে গুলি চালানোর কথা রাশিয়া বলছে, তা পূর্বনির্ধারিত মহড়ার অংশ ছিল এবং কোনো বোমাও ছোঁড়া হয়নি। ২০১৪ সালে রাশিয়া কৃষ্ণসাগর উপক‚লের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। কিন্তু ব্রিটেন এবং বিশ্বের বেশিরভাগ রাষ্ট্র ক্রাইমিয়া উপদ্বীপকে ইউক্রেনের অংশ বলেই স্বীকৃতি দেয়। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ক্রাইমিয়ার জলসীমায় গত মাসে অবৈধভাবে প্রবেশ করা এইচএমএস ডিফেন্ডারকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু না করেই ডুবিয়ে দিতে পারত রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের ওই আচরণের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র উস্কানি দিয়েছে বলেও দাবি করেন পুতিন। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স, এপি।