Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বয়স্ক ভাতার টাকা ইউপি সদস্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

‘আঁত্তে কেয়াই নাই, টেঁয়া পায়তমদে এগুনও মেম্বরর পোয়া লই ফেলাইয়ি, এহন কেয়ায় দিলি হায়, নদিলি উয়স থাকি’ (আমার কেউ নেই, বয়স্ক ভাতার টাকাগুলোও ইউপি সদস্যেও ছেলের মোবাইল একাউন্টে নিয়ে গেছে। এখন কেউ দিলে ভাত খায় নাদিলে উপোস থাকি) কথাগুলো বলতে বলতে কেঁদে দিলেন শত বছরের বৃদ্ধ অরণ্য বালা দে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (ইউপি) সদস্য মিনু রানী দত্ত ও তার ছেলে নিরোৎপল দত্তের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের এ অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বোয়ালগাঁও গ্রামের বিধবা অরণ্য বালা দে নামের এক বৃদ্ধার বয়স্ক ভাতার টাকা নিরোৎপল দত্তের মোবাইলের নগদ একাউন্টে নিয়ে নিচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগী অরণ্য বালা দে ও তার নাতী মিটন দত্ত। টাকা না পেয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে এই তথ্য বেরিয়ে আসে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্ত ও তার ছেলে নিরোৎপল দত্ত টাকা ফেরত দেবেন বলে জানায়।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ৭ নম্বর আনোয়ারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডেও বোয়ালগাঁও গ্রামের স্বামী-সন্তানহীন বৃদ্ধা অরণ্য বালা দে গত ৬ মাসের বয়স্ক ভাতার টাকা না পেলে সমাজ সেবা অফিসে আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ইতোপূর্বে ০১৮২২৩০৮৬০৫ নম্বরে মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলা হয়েছে। এবং এ্যাকাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে। পরে মিটন দত্ত এই নাম্বারে ফোন করে জানতে পারে এ এ্যাকাউন্টটি স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্তের ছেলে নিরোৎপল দত্তের। মিটন দত্ত বয়স্ক ভাতার বিষয়টি নিরোৎপল দত্তকে অবগত করলে তিনি স্বীকারও করেন এবং টাকা ফেরত দেবেন বলে জানায়। টাকা না পেয়ে ৩ মাস ধরেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন অরণ্য বালা।
ভুক্তভোগীর নাতি মিটন দত্ত জানায়, তার দাদীর বয়স্ক ভাতার টাকা না আসলে দাদীকে নিয়ে সমাজ সেবা অফিসে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যের ছেলের এ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা হচ্ছে। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে টাকা ফেরত দেবেন বলে জানায়, কিন্তু এখনো দেয়নি।
সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা মিনু রাণী দত্ত তার ছেলে নিরোৎপল দত্তের এ্যাকাউন্টে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অরণ্য বালার নগদ এ্যাকাউন্টের কোন মোবাইল ফোন না থাকায় আমার ছেলের নম্বার সমাজ সেবা অফিসে দেয়া হয়েছে। ওই এ্যাকাউন্টে ৩ হাজার টাকা এসেছে। টাকা ফেরত দিয়ে দেব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, একজনের টাকা অন্যজনের এ্যাকাউন্টে যাওয়ার নিয়ম নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

Show all comments
  • খাদিজা বেগম ৯ আগস্ট, ২০২১, ১১:১৭ এএম says : 0
    থানা আগৈলঝাড়ায় জেলা বরিশাল ইউনিয়ন রতনপুর ... টাকা আসেনি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বয়স্ক ভাতা

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ