মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইতালি এবং ব্রাজিল। প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে রাস্তায় লকডাউন বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছুঁড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষুব্ধদের।
বিশ্বের অনেক দেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ আছে। তবে তা আর মানতে রাজি নয় অনেকেই।
এ বিষয়ে আল জাজিজার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ প্রণীত 'হেলথ পাস' ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে গতকাল দেশটির বিভিন্ন জায়গায় আনুমানিক এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। এই 'হেলথ পাস' ব্যবস্থায় কোভিড টিকা যারা নেননি, তাদের রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন পাবলিক পরিসরে চলাফেরা কঠিন হবে।
বিক্ষোভকারীরা 'স্বাধীনতা, স্বাধীনতা' বলে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি প্রদর্শিত প্ল্যাকার্ডে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে একজন 'স্বৈরশাসক' হিসেবেও অভিহিত করেন।
একই দিনে 'হেলথ পাস' এর মতো একই ধরনের প্রকল্প 'গ্রিন পাস' এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ইটালিতেও। দেশটির রোম, ন্যাপেলস ও তুরিন শহরে প্রতিবাদকারীরা স্লোগানে স্লোগানে এই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান। এ সময় বেশিরভাগ বিক্ষোভকারীদের মুখে মাস্ক ছিল না।
বিক্ষোভে হয়েছে ইতালিতেও। দেশটিতে ‘গ্রিন পাস’-এর বিরুদ্ধে রাজধানী রোম, নেপলস এবং তুরিনের মতো শহরের পথে পথে জড়ো হন হাজারো মানুষ। তাদের কণ্ঠে স্বাধীনতার স্লোগান শোনা যায়। সম্প্রতি ইতালিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলে ফেরা করতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সংক্রমণ এড়াতে সরকার আগামী ৬ আগস্ট থেকে রেস্টোরেন্ট, সিনেমা হল, ক্যাফেটেরিয়া, জিম ইত্যাদি জায়গায় প্রবেশে গ্রিন পাশের নিয়ম চালু করেছে। মূলত যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তারাই এই সার্টিফিকেট পাচ্ছেন। এর প্রতিবাদেই রাস্তায় নেমেছে অনেকে।
একইভাবে লন্ডনে হাজারো বিক্ষোভকারীর ভাষ্য, সরকার এই বিধিনিষেধের মাধ্যমে তাদের নাগরিক অধিকার হরণ করছে। তারা বলছেন, যুক্তরাজ্য সরকার ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে তাদের চলাচল সীমিত করে ফেলছে। চলতি মাসে ছয় লাখের বেশি মানুষকে এক সপ্তাহ আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। এমন সময়ে এই বিক্ষাভটি হলো যখন দেশটিতে করোনাভাইরাসজনিত বেশিরভাগ বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় সিডনির প্রাণকেন্দ্রে লকডাউনের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল করেন। শনিবার রাস্তায় নেমে তারা লকডাউন বিরোধী স্লোগান দেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় মাস্ক ছুঁড়ে ফেলেন। সিডনি ইউনিভার্সিটির ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে যাত্রা শুরু করে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। তাদের লক্ষ্য ছিল, টাউন হলে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। তবে মাঝপথে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। মিছিলকারীরা পানির বোতল ও রাস্তার পাশ থেকে গাছ তুলে পুলিশের দিকে ছুঁড়ে মারেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, লকডাউনে তারা কাজ করতে পারছে না। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ঘরবন্দি থাকায় মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এদিকে, লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে হাজার হাজার মানুষ রিও ডি জেনিরোর রাস্তায় নেমে লকডাউন প্রত্যাহার এবং ভ্যাকসিনের দাবিতে বিক্ষোভে করেন। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। সূত্র : আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।