পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মার সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সাথে রো-রো ফেরি শাহজালালের ধাক্কা লেগে প্রায় ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ফেরি নিয়ন্ত্রণে আসায় এবং বড় সমস্যা না হওয়ায় চালক শেষ পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি নোঙর করতে সক্ষম হয়।
এদিকে পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়া ‘শাহজালাল’ ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডবিøউটিসি) থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত ফেরি ‘শাহজালাল’ সঠিকভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় ফেরিটির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডবিøউটিসি)। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।
প্রত্যক্ষর্শীরা জানান, গতকাল সকালে বাংলাবাজার থেকে ঢাকামুখী কয়েকশ’ যাত্রী ও অর্ধশতাধিক যানবাহন নিয়ে রো-রো শাহজালাল ফেরিটি শিমুলিয়ায় আসছিল। পথে লৌহজং পয়েন্টের পদ্মা সেতুর ১৭নং পিলারের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ করেই ফেরি বন্ধ হয়ে সজোরে সেতুর পিলারে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এসময় যাত্রীদের কেউ মাথায়, কেউ পায়ে আঘাত পান। এতে কয়েক জনের মাথা ফেটে গেছে।
যাত্রীরা জানান, চালকের কারণেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে। শত শত মানুষ ছিল। অনেকে আহত হয়েছেন। এক যাত্রী বলেন, অনেক জোরে ধাক্কা লাগছে, ক্যান্টিনের গøাস, প্লেট, ফ্রিজ সব পড়ে ভেঙে গেছে। কেউ মাথায়, কেউ হাত-পায়ে আঘাত পেয়েছেন। গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সিরাজুল ইসলাম বেগ জানান, পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ফেরির ধাক্কা লাগার আগে কোনো রকম হুইসেল বা ঘণ্টা বাজানো হয়নি- যাতে যাত্রীরা সতর্ক হতে পারে। আহত যাত্রী আরিফ হোসেন জানান, বিপদ সঙ্কেত দিলে এত যাত্রী আহত হতো না।
সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কার ঘটনায় আহত ফেরির বাবুর্চি ইউসুফ আলী বলেন, আমি মাছ কাটতে ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফেরির লোহার খুঁটিতে ধাক্কা খাই। এতে আমার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। ধাক্কায় তিনটি ফ্রিজে থাকা জুস ও পানীয়র বোতল এবং খাবার মেঝেতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
ফেরি শাহজালালের চালক আব্দুল রহমান বলেন, ফেরি ভালো ভাবেই চলছিল। পদ্মা সেতুর সামনে আসার পর হঠাৎ ফেরির ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফেল করায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। এসময় নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পিলারে গিয়ে ধাক্কা লাগে। তাৎক্ষণিক ব্রেক উঠিয়ে আবারো ফেরি চালু করতে পারি এবং গন্তব্যে পৌঁছে ভালোভাবে নোঙর করেছি।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে পদ্মায় চলাচলকারী যেকোনো নৌযানের ধাক্কা সহ্য করতে পারে এমন নকশা করেই সেতুর পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সেতুতে প্রভাব পড়বে না। যদি সামান্য অংশ ভেঙে যায়, তাহলে সেগুলো সংস্কার করলেই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।