Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আমতলীতে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২১, ৫:২৮ পিএম

বরগুনার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামে কোরবানীতে ভাগীদার না নেওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মামুন মোল্লা (২৮) নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আহত মামুন মোল্লাকে স্বজনরা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের রশিদ মোল্লার ছেলে গরু ব্যবসায়ী মো. মামুন মোল্লা কোরবানীর কয়েক দিন আগে একই গ্রামের আব্দুল আজিজ ফকির, মন্নান ফকির, ফারুক ফকির ও মামুন মোল্লার বাবা মো. রশিদ মোল্লার নিকট ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বকনা গরু কোরবানীর জন্য বিক্রি করেন। ওই কোরবানীর গরুর সঙ্গে ভাগী হিসেবে ওই একই গ্রামের ফজলুর রহমান গাজী থাকতে চেয়েছিল। কিন্ত তাকে ভাগী না করায় রশিদ মোল্লা এবং তার ছেলে মামুন মোল্লাকে দায়ী করে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় ফজলুর রহমান এবং তার ছেলেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের পথ ধরে বাড়ি যাচ্ছিল মামুন মোল্লা। সে দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের ছত্তার গাজীর বাড়ীর সামনে আসা মাত্র ফজলুর রহমানের ৩ ছেলে ইব্রাহিম গাজী, ছলেমান গাজী ও রেজাউল গাজী দা, রামদা এবং ছুরি নিয়ে আকস্মিক মামুন মোল্লার উপর ঝাঁপিয়ে পরে। এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। দা এবং রামদার কোপে মামুন মোল্লার গাল, এবং নাক কেটে গুরুতর জখম হয়। কোপানোর সময় মামুন মোল্লার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে রক্ষা করে। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা গুরুতর হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিনই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

আহত মামুন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা রশিদ মোল্লাসহ ৫জনে মিলে কোরবানী দেওয়ার জন্য আমার নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকায় একটি বকনা গরু ক্রয় করেন। ওই গরুর সাথে ফজলু গাজী ভাগীদার থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু তাকে ভাগী না নেওয়ায় তার ৩ ছেলে ইব্রাহিম গাজী, ছলেমান গাজী ও রেজাউল গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।

হামলা কারীদের পক্ষে ইব্রাহিম গাজী কোপানোর কথা অস্বীকার করেন।

আহত মামুন মোল্লার বাবা রশিদ মোল্লা বলেন, ফজলু গাজীকে কোরবানীতে ভাগীদার না নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেরা আমার ছেলে মামুন মোল্লাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এঘটনার বিচার চাই।

আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. হিমাদ্রী রায় জানান, মামুনের মুখ মন্ডলে এবং নাকে কোপের চিহ্ন রয়েছে।

আমতলী থানার ওসি তদন্ত রনজিৎ কুমার সরকার জানান, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরগুনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ