গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন রাজধানীর প্রধান রাস্তাগুলো ফাঁকা। মূল সড়কে বিধিনিষেধ সর্বাত্মকভাবে মানতে দেখা গেলেও পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। স্যানিটাইজার নেই প্রায় সবার। ‘কঠোর লকডাউন’ কেমন হচ্ছে তা দেখতে বের হয়েছেন অনেকেই। এ ছাড়া অনেকেই বের হচ্ছেন বাজার করার অজুহাতে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দনিয়া, কুতুবখালী, কাজলা, গোবিন্দপুর, কদমতলী থানার দনিয়া, নূপুর, জিয়া স্মরণী, জুরাইন এলাকা ঘুরে দেকা গেছে, কঠোর লকডাউনের মধ্যেই পাড়া-মহল্লার দোকান খোলা। মানুষজন স্বাভাবিকভাবে চলাচফেরা করছেন। হরদম চলছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক।
সড়কে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পাড়া মহল্লার দিকে তারা খুব একটা নজর দিতে পারছেন না। সে কারণেই পাড়া মহল্লায় মানুষ আড্ডা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাদের মতে, করোনাভাইরাসের বিষয়ে মানুষ এখনো উদাসীন। আবার অনেকে এখনো বিশ্বাসই করতে চান না ভাইরাসটির ভয়াবহতা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখেরটেক ২ নম্বর রোডের পশ্চিম মাথায় চায়ের দোকানগুলো খোলা রাখা হয়েছে। সেখানে মুখে মাস্ক না পরা লোকজন আড্ডা দিচ্ছেন। দল বেঁধে চা পান করছেন।
জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া শেখেরটেক ২ নম্বর রোডের বাসিন্দা ই-কমার্স ব্যবসায়ী অপু রায়হান বলেন, পাড়া মহল্লায় লকডাউন কেউ মানে না। মানুষ উদাসীন। মহল্লায় অনেক দোকানপাট খোলা রাখেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক নেতারা সচেতন করলে হয়তো বিধিনিষেধ কার্যকর করা যেতে পারে।
মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের কাছে দায়িত্ব পালনকারী আদাবর থানার এসআই মো. নওশের আলী বলেন, নানা অজুহাতে অনেকেই বের হয়েছেন। মূল সড়কে আমরা নজর রাখতে পারছি। কিন্তু অলি-গলিতে কীভাবে বিধিনিষেধ পালনে বাধ্য করা সম্ভব? মানুষ তো উদাসীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেডের ভেতরের বিভিন্ন গলি, নবোদয় হাইজংয়ের বিভিন্ন গলি, আদাবর ও কৃষি মার্কেট এলাকার বিভিন্ন গলিসহ এসব এলাকার বিভিন্ন গলিতে আড্ডা দিতে দেখা গেছে বেলা ১২টা পর্যন্ত। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিতে একই অবস্থা দেখা গেছে। তবে প্রধান সড়কে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।