পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটট ও হাসপাতাল কেন্দ্রে তিনি টিকা নেন। এর আগে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে গাড়িতে করে সাড়ে তিনটার কিছু পরে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান।
বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে গাড়িতে বসেই আমেরিকার তৈরি মডার্নার টিকা নেন তিনি। এসময় তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। টিকা দেয়ার পর বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, এই হাসপাতালে মডার্নার টিকা পাওয়ার যাচ্ছে। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) সেই টিকাই নিয়েছেন। শুধু উনিই নেননি, উনার সাথে যারা কাজ করেন, উনাকে সহায়তা করেন, উনার বাসার উনিসহ ৬জন টিকা নিয়েছেন।
উনি কেমন আছেন প্রশ্ন করা হলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, সবাই দেখেছেন, উনি হেটে হেটে আলিয়া মাদরাসার আদালতে গেছেন এবং ২০২০ এর ২৫ মার্চ উনি যখন বের হলেন তখন হুইল চেয়ারে বাসায় এসেছেন, হুইল চেয়ারে করে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন এবং আবার এভার কেয়ারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হুইল চেয়ারে তিনি বাসায় ফেরেন। অর্থাত এতেই বুঝা যায়, উনার শারীরিক অবস্থা কেমন। উনি তো এরকম ছিলেন না।
তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে উনার করোনা পরিবর্তী যেসব জটিলতা হয়েছিলো তার চিকিৎসা হাসপাতালে করে বাসায় ফিরেছেন। তবে উনার (খালেদা জিয়া) পুরনো অসুখ আর্থ্যারাইটিস, ডায়াবেটিক, হাইপারটেনশন, হার্ট ও কিডনি বলেন এগুলোর জন্য মর্ডান চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন। এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে যে সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে সেখানেও মেডিকেল বোর্ড বলেছে যে, উনার পরবর্তী চিকিৎসা ও ফলোআপের জন্য দেশের বাইরে মর্ডান মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
মর্ডানা টিকার বিষয়ে উনার আগ্রহ ছিলো কিনা জানতে চাইলে প্রফেসর জাহিদ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে (শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট এন্ড হাসপাতাল) এভেইলেভেল হচ্ছে মর্ডানা টিকা এবং ঢাকা শহরের বেশিরভাগ সেন্টারে এই টিকাই আছে। ফাইজারের টিকা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কাজেই এক সেন্টারের টিকা অন্য সেন্টারে টিকা দেয়া যায় না। উনার নিজের কোনো চয়েজ নাই। উনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন সর্বোপরি এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী আইনের প্রতি ও নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং আছেন। সেই অনুযায়ী উনি নিবন্ধন করে হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
এর আগে বিকাল সাড়ে তিনটায় গুলশানের বাসা ফিরোজায় থেকে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে করে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাট্রোলিভার ইনস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালে এসে বিকাল ৪টায় টিকা নেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এই সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক আব্দুস শাকুর খান, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন প্রমূখরা ছিলেন।
সেখানে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা একনজর নেত্রীকে দেখতে ভিড় করে। এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন নজরুল ইসলাম, রাজীব আহসান, মহানগরের কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা এবং চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া দ্বিতীয় টিকার ডোজের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১৯ আগস্ট।
গত ৮ জুলাই ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসের মাধ্যমে করোনার টিকা জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় বিএনপি চেয়ারপারসন করোনায় আক্রান্ত হন। দুই সপ্তাহ বাসায় চিকিৎসা নেয়ার পর ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে পোস্ট কোভিড জটিলতায় দীর্ঘ ৫৩ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ১৯ জুন খালেদা জিয়া বাসায় ফেরেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে ওই সময়ে করোনা ঝুঁকি দেখা দেওয়ায় তাকে বাসায় স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।