মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপজুড়ে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চল, প্রতিবেশী বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ হাজারো মানুষের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। বানের তোড়ে বহু ঘর-বাড়ি ভেসে যাওয়ায় সব হারিয়ে পথে বসেছেন বাস্তচ্যুত মানুষ। আল জাজিরা জানিয়েছে, অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে জার্মানিতে সবচেয়ে ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কোলন শহরের দক্ষিণে আভাইলা জেলায় প্রায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেক মানুষ।
রয়টার্স জানায়, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নদীর কূল ছাপিয়ে উপচে পড়া পানি ও হড়কা বানে বাড়িঘর ধসে যায়, রাস্তা ভেঙে পড়ে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে। বন্যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েকশ লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অথবা তাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। কিছু এলাকার সঙ্গে টেলিযোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভল্টার স্টাইনমায়ার গত শনিবার অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য নথস রিনে-ভেসপালিয়ার এফস্ট্যাড শহর পরিদর্শন করেছেন। এখানে বন্যায় অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চ্যান্সেরল অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের গতকাল রোববার আরেক ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য রিনেল্যান্ড পালাটিনাট পরিদর্শনে যাবার কথা ছিল। হড়কা বানে রাজ্যটির শোয়েজ গ্রাম প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
পশ্চিম জার্মানির স্টাইনবাখথাইল বাঁধ ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে থাকায় নিম্নাঞ্চলের বাড়িগুলোতে থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কোলনের নিকটবর্তী বাসেনবার্গ শহরে একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর শুক্রবার রাতে স্থানীয় প্রায় ৭০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওই রাতের পর থেকে পানির স্তর নামতে শুরু করেছে বলে বাসেনবার্গ শহরের মেয়র জানিয়েছেন।
পশ্চিম জার্মানির স্টেইনবাস্টাল বাঁধ ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁধের চারপাশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বাসিন্দাকে ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রিনেল্যান্ড পালাটিনাটে এবং নথস রিনে-ভেসপালিয়া রাজ্যের পুরো অঞ্চলের জনবসতিগুলো গত বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ফ্লাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যায় পানির স্রোতে বহু পুরনো বাড়ি-ঘর পানির নিচে। ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠত ধ্বংসস্তূপে ফিরে এসেছেন অনেকে। কিন্তু কিছুই আগের মতো নেই। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল।
বেলজিয়ামের পরিস্থিতিও খুব একটা ভালো নয়। এখন পর্যন্ত ২৪ জনের জন মারা গেছেন। নেদারল্যান্ডসে মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও আকস্মিক বন্যার প্রভাব পড়েছে। এমন দুর্যোগকে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।