বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আমাদের দৈনন্দিন কথাবার্তায় প্রায়ই কতিপয় বিশিষ্ট শব্দ ও বাক্য ব্যবহৃত হয়। সবাই সে শব্দগুলো উচ্চারণ করে কিন্তু প্রকৃত মর্ম খুব কম লোকই বুঝতে পারে। দৃষ্টান্তস্বরূপ-ইসলাম, জেহাদ ও কোরবানি শব্দগুলো নেওয়া যেতে পারে। কী ব্যাপকহারে এই শব্দগুলো আমাদের কথাবার্তা তথা লেখনীতে প্রভাব বিস্তার করে আছে! কিন্তু ক’জনই বা শব্দগুলো বুঝেশুনে বলেন? আর ক’জন পাঠকই এসবের প্রকৃত মর্ম বোঝেন, যে মর্মের জন্যে এইসব শব্দের উদ্ভাবন করা হয়েছিল। শব্দগুলোর প্রকৃত মর্ম ও তাৎপর্য অনুধাবন করতে হলে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জীবনেতিহাসে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। তাঁর জীবনটাই ছিল ইসলাম, জেহাদ ও কোরবানির বাস্তব নমুনা। আর তিনিই তো হচ্ছেন ‘ইসলাম’ নামকরণকারী। ইসলাম, জেহাদ ও কোরবানি-এই তিনটি শব্দই প্রকৃত অর্থে একটি অপরটির পরিপূরক। যদি ইসলাম থেকে জেহাদ ও কোরবানির মর্ম পৃথক করা হয় তবে ইসলাম এমন একটি জিনিসের নাম হবে যা বাস্তবে নেই। অন্যকথায় ইসলাম বস্তুবিহীন একটি নামে পরিণত হয়ে যাবে। ‘ইসলাম’ যেহেতু ‘পড়সঢ়ষবঃব পড়ফব ড়ভ ষরভব’ অর্থাৎ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনবিধান,তাই এর মধ্যে জেহাদ ও কোরবানির মর্ম থাকাটাই অত্যাবশ্যকীয়।
‘ইসলাম’ আরবি শব্দ যা ‘সালামুন’ ধাতু থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে submission, Surrender and obedience to the will of Allah. অর্থাৎ ইসলাম বলতে বুঝায় আনুগত্য, দাসত্ব ও আত্মসমর্পণ। আর যে ব্যক্তি বিনা প্রতিবাদে আল্লাহ ও রসুলের ইচ্ছার সামনে অবনত মস্তকে আত্মসমর্পণ করে তাকেই বলা হয় মুসলিম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কেবল নিজস্ব বিচারবুদ্ধির অনুসরণ করা মুসলমানদের কাজ নয়। খোদার বিধানের মধ্যে যেটুকু নিজ স্বার্থের অনুকূলে কেবল সেটুকুই মানব আর যেটুকু স্বার্থের বিরোধী তা নাকচ করে দেওয়া কোনো মুসলমানের কাজ নয়।
‘জেহাদও’ আরবি শব্দ। এর মূল ধাতু হচ্ছে ‘জাহদুন’, যার অর্থ প্রাণপণ চেষ্টা করা, সংগ্রাম করা ইত্যাদি। ইংরেজিতে যার মোটামুটি অর্থ হবে ‘To exert ones utmost’। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সফল করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করা, কষ্ট সহ্য করা ও পরিশ্রম করা। কিন্তু আরবি ভাষায় যখন ‘জাহদুন’ ধাতুটিকে বিভিন্নরূপে গঠন করা হবে তখন তার আসল অর্থসহ কিছু বর্ধিত অর্থ প্রকাশ পাবে। যেমন আরবি বিভিন্ন রূপের মধ্যে একটি হল ‘মুফাআলা’ আর এভাবে যতগুলো শব্দ আসবে প্রত্যেকটির মূল অর্থের সাথে একটি বর্ধিত অর্থও থাকবে। যেমন ‘কাতলুন’ ধাতুর অর্থ হত্যা করা। আবার ‘মুকাআলা’ হলে এর অর্থ দাঁড়াবে একে অপরকে হত্যা করা। উল্লেখ্য ‘মুফায়ালা’ রূপের ধাতু ‘ফিয়াল’ রূপেও আসে। যেমন-‘জেহাদ’।
তাহলে বোঝা গেল, ‘জাহদুন’র অর্থ কোনো উদ্দেশ্য সফলের জন্য একা চেষ্টা করা। অপরপক্ষে ‘জেহাদ’ বা ‘মুজাহাদার’ অর্থ দাঁড়াবে এই চেষ্টার মধ্যে কমপক্ষেও দু’জন ব্যক্তি শামিল এবং প্রত্যেকেই এই চেষ্টার মধ্যে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।
যখনই একজন ব্যক্তি আল্লাহ ও রসুল (স.)-এর প্রতি ঈমান আনয়ন করবে তখনই তার কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মে দুটি রাস্তা আসবে। একটি হবে আল্লাহ ও রসুলের নির্দেশিত রাস্তা আর অপরটি হবে নিজের খায়েশাত তথা শয়তানের রাস্তা। এ উভয় রাস্তার মধ্যে জেহাদ সংঘটিত হবে। প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিকে আল্লাহতা’লার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে অপর রাস্তাটির সাথে জেহাদ করে সফলতা অর্জন করতে হবে। এটিই হল জেহাদের প্রথম ধাপ, যাকে হাদিস শরিফে শ্রেষ্ঠ জেহাদ বলে অভিহিত করা হয়েছে। আর এখানেই ইসলাম ও জেহাদ সমার্থবোধক। একজন প্রকৃত পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হতে হলে তাকে সর্বদা নিজের খেয়াল-খুশি তথা আল্লাহ ও রসুলবিরোধী সব মত ও পথের সাথে সংগ্রাম (জেহাদ) করতে হবে। আর এ সংগ্রামের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা আসলে তাকে সরাতে নিজের জীবনও বিসর্জন দিতে একজন মুমীন সদা প্রস্তুত।
প্রকৃতিগতভাবে, যখনই কেউ কোনো আদর্শ বা মতবাদকে সত্য বলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে, তখনই এর প্রচার ও প্রসারে নিজের জান-মাল, ধন-সম্পদ ও সময় ইত্যাদি ব্যয় করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ যে কোনো রাজনৈতিক দলের মতাদর্শকে নেয়া যেতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতাদর্শকে অন্য দলের মতাদর্শের উপর জয়ী করতে কতই না চেষ্টা-সংগ্রাম তথা কষ্ট স্বীকার করে থাকে। এ সকল চেষ্টাই জেহাদের অন্তর্ভুক্ত, আর সকল চেষ্টাকারীরাই মুজাহিদ। উদ্দেশ্য যতই মহৎ ও পবিত্র হবে জেহাদও ততই মহৎ ও পুণ্যের হবে। আর উদ্দেশ্য যত খারাপ হবে জেহাদও তত খারাপ ও দূষণীয় হবে। যেহেতু একজন মুমীনের পূর্ণ বিশ্বাস ইহজগত ও পরজগতের কল্যাণ আল্লাহ ও রসুলের আনুগত্যের মধ্যে নিহিত, সেহেতু এর প্রচার ও প্রসারে তথা ইসলামের সে আদর্শকে পৃথিবীর বুকে জয়ী করতে তার সংগ্রাম করাটাই স্বাভাবিক। আর সংগ্রামের পথে প্রত্যেক প্রতিবন্ধকতার মূলোৎপাটনে সে বদ্ধপরিকর তাতে যদি তার প্রাণ যায় তবুও।
‘কোরবানি’ আরবি ‘ক্কুরবুন’ ধাতু থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহতা’লার নৈকট্য অর্জন করার বস্তু। ‘কুরবান’ অর্থাৎ উৎসর্গ করা, ধ্বংস করা, ত্যাগ করা ইত্যাদি। মহান প্রভুর সান্নিধ্য লাভ করার উপায় হল দুটি: প্রথমত, তাঁর আদেশ যথাসাধ্য নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করা। দ্বিতীয়ত, তাঁর নিষিদ্ধ কর্মসমূহ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা। আর এজন্য কখনো নিজের খেয়াল-খুশিকে, কখনো ধন-সম্পত্তি তথা নিজের জীবনেরও কোরবানি পেশ করতে হবে। একজন প্রকৃত মুমিনের মধ্যে সর্বদা আল্লাহতা’লার নৈকট্য লাভের জন্য সবকিছুকে ত্যাগ ও উৎসর্গ করার পূর্ণ স্পৃহা থাকাটাই বাঞ্চনীয়। ইসলাম নামকরণকারী মহান পুরুষ হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জীবনে এই তিনটি জিনিষের বাস্তব নমুনা খোঁজার চেষ্টা করা যাক।
হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর নেতৃত্ব পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের কাছে গ্রহণীয়। খ্রিস্টান, ইহুদি এবং মুসলমান সকলেরই তাঁর সাথে ভালোবাসা তথা আধ্যাত্মিকতার সম্পর্ক আছে। কেননা, হযরত মুসা (আ.) হযরত ইসা (আ.) এবং হযরত মোহাম্মদ (স.) তিনজনই তাঁর বংশধর। একত্ববাদের এই ঘোষণাকারীর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গোটা জীবনটাই ইসলাম, জেহাদ ও কোরবানির বাস্তব চিত্র। আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে বর্তমান ইরাকে হযরত ইব্রাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেন।
সমস্ত পৃথিবীবাসী নিজ সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গিয়ে চন্দ্র-সূর্য, গাছ-পালা তথা পাথরের এবাদতে মগ্ন ছিল। পৃথিবীবাসী অত্যন্ত আগ্রহে বিভিন্ন দেব-দেবতার এবাদতে নিমজ্জিত ছিল। অচেতন মূর্তির নিকট নিজের আশা-আকাক্সক্ষা পূরনের প্রার্থনা ও মানত প্রথা প্রচলিত ছিল। মোটকথা, পৃথিবীবাসী নিজ স্রষ্টার গোলামি ত্যাগ করে, সৃষ্টির গোলামিতে নিয়োজিত ছিল। হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর বংশধররা কেবল মূর্তিপূজকই ছিলেন না বরং তাঁরা এই প্রথার রক্ষকও ছিলেন। হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জন্মের পর গ্রামেগঞ্জে কত না খুশির হাওয়া বয়েছিল। আর তাঁর প্রতি নিজের পরিবার তথা দেশবাসীর কতই না আশা-ভরসা ছিল যে, ভবিষ্যতে তিনিই বংশের ঐতিহ্যটি বহাল রাখবেন। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জ্ঞানচক্ষু ও অন্তর্দৃষ্টি যতই উম্মোচিত হতে লাগল ততই নিজের পরিবার ও সম্প্রদায়ের কার্যকলাপ ও বিশ্বাসের প্রতি তাঁর অনীহা জন্মাতে লাগল। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজ সম্প্রদায়কে সৃষ্টিকর্তার সন্ধান দিতে, প্রজ্ঞার সাথে একে একে চন্দ্র-সূর্য ও তারকারাজিকে নিজের প্রভু বলে সাময়িকভাবে ধরে নিলেন। পরে যখন এগুলো অস্তমিত হয়ে গেল তখন তিনি জাতিকে উদ্দেশ্য করে বললেন যে, ‘আমি অস্তগামীদের ভালোবাসি না’। তাঁরা কিন্তু হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর কথার মর্ম উপলব্ধি করতে না পেরে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে গেল। হযরত ইব্রাহিম (আ.) দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা করলেন যে, ‘হে আমার গোত্র তোমরা যে সব বিষয়কে শরিক কর, আমি ওসব থেকে মুক্ত। আমি একমুখী হয়ে স্বীয় আনন ঐ সত্ত্বার দিকে করেছি, যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এবং আমি মুশরিক নই।’ (৬ : ৭৮-৭৯) যেখানে নিজ সম্প্রদায় তথা গোটা পৃথিবীতে যে প্রথাটি শুধু প্রচলিতই ছিল না, তার সাথে ধর্মীয় বিশ্বাসও জড়িত ছিল-এরূপ প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলা কি বিদ্রোহ নয়? নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করার ঝুঁকি নেয়া নয় কি? তা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়? কোন জিনিসটি তাঁকে এই বিদ্রোহে তথা জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে আত্মাহুতি দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল? কীসের নেশায় মত্ত হয়ে তিনি নিজ মাতৃভূমিকে ত্যাগ করে অচেনা-অজানা পথের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন? তা ইসলাম, জেহাদ ও কোরবানির বাস্তব রূপ নয় কি? বৃদ্ধ বয়সে প্রাপ্ত একমাত্র ছেলের গলায় ছুরি দিতে কে তাঁকে প্রস্তুত করেছিল? এই ছিল পূর্ণ ইসলাম, জেহাদ ও কোরবানির বাস্তব ছিত্র। আর সেজন্যই তিনি আল্লাহতা’লা কর্তৃক গোটা মানবজাতির ‘নেতা’ ও আল্লাহর বন্ধু রূপে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, এখানে আল্লাহতা’লার উদ্দেশ্য হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পুত্রকে জবাই করা ছিল না বরং তা মহব্বতের জবাই ছিল যা আল্লাহতা’লার মহব্বতের অংশীদার বা তাঁর মহব্বতের প্রতিবন্ধক। তা ছিল আল্লাহতা’লার মহব্বত ব্যতীত অন্য সকল জিনিসের মহব্বতের কোরবানি যা পূর্ণ আনুগত্য ও দাসত্বের উৎকৃষ্ট নমুনা, যা মহান আল্লাহর নির্দেশের সামনে নিজেকে বিলীন করার ও তাঁর রাস্তার সংগ্রাম তথা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তুর কোরবানি পেশ করার বিরল দৃষ্টান্ত। তা ছিল রাস্তার ধৈর্য্য ও কৃতজ্ঞতা তথা সংগ্রামের সেই পরীক্ষা যা ব্যতিরেকে ইহজগতের নেতৃত্ব ও পরজগতের চিরন্তন সুখের আশা করা অবান্তর, যা পিতার একমাত্র পুত্রের রক্ত দ্বারা পৃথিবীকে রঞ্জিত করা ছিল না বরং তা ছিল নিজের সমস্ত আশা-আকাক্সক্ষা ও খেয়াল-খুশির কোরবানি।
বস্তুত, প্রতিবছর ঈদ-উল-আজহা পালনের সময় পশুদের কোরবানি দেওয়ার প্রথা তা সেই মহান কোরবানিরই অনুকরণ ও স্মারক, অভ্যন্তরীণ তাৎপর্যের বাহ্যিক প্রকাশ। একজন মুসলমান পশু জবাই করার সময় মুখে উচ্চারণ করে যে, ‘নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার সর্বপ্রকার এবাদতসমূহ, আমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছুই বিশ্ব প্রতিপালকের জন্যই নিবেদিত।’ উক্ত স্বীকারোক্তির মাধ্যমে পশুর গলায় ছুরি চালনা করে এ কথারই বাস্তব চিত্র পেশ করে যে, আল্লাহতা’লার মহব্বত ও তাঁর নির্দেশের সামনে নিজের সকল প্রিয় বস্তুর কোরবানি এমনকি নিজের প্রাণেরও কোরবানি পেশ করতে সে সদা প্রস্তুত। আর যদি সেই অনুভূতি ও স্পৃহা না থাকে তবেও কি তা কোরবানি? না, তা কোরবানি নয় বরং বাহ্যিক একটি অনুষ্ঠান, আল্লাহতা’লার নিকট যার কোনো মূল্য নেই। সেই চেতনা, অনুভূতি ও স্পৃহাহীন কোরবানি সম্বন্ধে মহান প্রভুর ঘোষণা হচ্ছে যে, ‘এগুলোর মাংস ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না। কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া।’
আশাকরি, এই আলোচনা থেকে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়েছে যে, ইসলাম, জেহাদ, ও কোরবানি তিনটি শব্দই একটি অপরটির পরিপূরক। একজন পূর্ণাঙ্গ মুসলিম-যে মুসলিমের জন্য ইহজগতের নেতুত্ব ও পরজগতের চিরন্তন সুখের সু-সংবাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর মধ্যে এই তিনটি জিনিসের বাস্তব চিত্র থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। আজ আন্তর্জাতিকভাবে আমরা পদদলিত ও নির্যাতিত হওয়ার প্রধান কারণ হল যে, আমরা ইসলাম, জেহাদ ও কোরবানির মর্ম ভুলে বাহ্যিক কয়েকটি অনুষ্ঠানের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ করে নিয়েছি। জেহাদকে যুদ্ধের সমার্থবোধক মনে করে নিজের জীবন থেকে বিদায় দিয়েছি আর প্রতি বছর ১০ জিলহজ্জ্বে একটি পশু কোরবানি করে অন্য সকল কোরবানি থেকে নিজেদেরকে দায়মুক্ত করে নিয়েছি।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।