Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেতাগীতে হাসপাতালের প্রবেশ মুখে পশুর হাঁট

ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজন

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২১, ৬:১২ পিএম

বরগুনার বেতাগীতে কোরবানি উপলক্ষে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন সড়কের ওপরেই বসেছে পশুর হাঁট। এতে ক্রেতার সমাগমে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। রয়েছে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

শনিবার (১৭ জুলাই) ছিল অনির্ধারিত কোরবানির পশুর হাঁটের দিন। সকাল সারে ১১টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেতাগী ফেরিঘাট এলাকায় বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রাস্তার জমজমাট পশুর হাঁট। তিন রাস্তার সংযোগস্থলে দুই পাশে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হচ্ছে পশু। বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে আসছেন। রাস্তার ওপরেই চলছে কেনাবেচা।

এতে বিঘ্নিত হচ্ছে চলাচল। দীর্ঘ সময় নিয়ে পথচারীদের পার হতে হচ্ছে পথ। এছাড়া হাঁটে উপস্থিত অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখে দেখা যায়নি মাক্স। মানা হচ্ছেনা করোনা স্বাস্থ্যবিধি। জরুরি সেবা নিতে আসা রোগীদের হাসপাতালে ঢুকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তবে খোঁজ নিয়ে পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পশুর হাঁট বসার জন্য কাগজ-কলমে পৌর এলাকায় স্থায়ীভাবে কোন নির্ধারিত স্থান নেই। কিন্তু অন্যান্য সময়ে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার পৌরসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের স্লুইসগেট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পশুর হাঁট বসে আসছিল কিন্তু সেখানে নিরাপদ পানি সরবরাহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলায় জায়গার অভাবে কোরবানি উপলক্ষে তা একদিন বাড়িয়ে সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় অবাধে পশু কেনাবেচা করা হচ্ছে।

এমনই একজন মোকামিয়া ইউনিয়নের মো: বিল্লাল হোসেন। দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত ছোট ভাইকে নিয়ে বেতাগী হাসপাতালে এসেছেন তিনি। কথা হয় তার সাথে। এ সময় ক্ষোভের সঙ্গে বিল্লাল বলেন,গরুর হাঁট হলো মাঠে কিন্তু বেতাগী হাসপাতাল এলাকায় হাঁট বসায় পুরো এলাকা এখন গরুতে সয়লাব হয়ে গেছে।

এছাড়াও হাসপাতালে সেবা নিতে আসা আরও একাধিক রোগী অভিযোগ করেন, এ পরিস্থিতিতে সুস্থ মানুষের পক্ষেও হাসপাতালে ঢোকা কঠিন। আর রোগী নিয়ে আসা অনেক কষ্টের। রাস্তার দুই পাশে গরুর মাঝ দিয়ে হাঁটা অনেক ঝুঁকিরও।

এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারীরা আব্দুর রব মিয়া জানান, অন্যান্য সময়ে এ রাস্তায় কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু কোরবানির পশুর হাট বসায় ভোগান্তিতে পোহাতে হয়। পশুর মলমূত্রে পুরো রাস্তাটি যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। গায়ে-পোশাকে ময়লা লেগে যাচ্ছে।

যাত্রীবাহী অটো চালক আ: হক বলেন, রাস্তার ওপর পশুর হাট বসার কারণে অনেক সময় নিয়ে সামান্য রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারলে অটোর সিরিয়াল মেলে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, পৌরসভার এ হাঁট টি স্লুইসগেট এলাকায় বসার কথা ছিল। তবে সেখানে জায়গা সংকুল না থাকায় এখানে বসানো হয়েছে। তবে সড়কের ওপর জায়গা দখল করে পশুর হাঁট বসানোর কোন সুযোগ নেই। এ নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরগুনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ