Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে যানজট : ঈদযাত্রায় ভোগান্তি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২১, ২:০১ পিএম

মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে যানজটের কারণে সাধারণ সময়ে যে পরিমাণ বাস ছাড়া হতো সেটা এখন সম্ভব হচ্ছে না। সংখ্যা কমে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে রাজধানী ছেড়ে যেতে পারছে না বেশিরভাগ বাস। নির্ধারিত সময় থেকে দশ ঘণ্টা পরেও গন্তব্যের দিকে রওনা হচ্ছে বেশিরভাগ দূরপাল্লার পরিবহন। এদিকে দীর্ঘ অপেক্ষা আর অসহনীয় গরমে নাকাল ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।

ভুক্তভোগিরা জানান, রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীসংখ্যা কম থাকায় সকাল থেকে অনেক বাসের শিডিউল পরিবর্তন হয়েছে। আবার অনেক বাস যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় ছেড়ে যায়নি। নির্ধারিত সময়ে গাবতলী বাস টার্মিনালে পৌঁছলেও হাতেগোনা কয়েকটি পরিবহনের বাস গাবতলী থেকে সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে। আর অনেক পরিবহনের যাত্রী ভোর থেকে অপেক্ষায় আছেন।

সেঞ্চুরি পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আমিনুল বলেন, নির্ধারিত সময় বাসগুলো গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যেতে পারছে না। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা আটটায় বাস ছাড়ার কথা থাকলেও সেই বাস গাবতলী টার্মিনাল এসে পৌঁছায় রাত ২টায়। পরবর্তীতে গাড়ির কিছু কাজ শেষে তিনটার দিকে যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।



রজনীগন্ধা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার নূরু বলেন, সকাল থেকে চারটি গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও যাত্রী কম থাকায় একটি বাস ছাড়তে পেরেছি। এসময় নির্ধারিত সময়ে বাস না ছাড়ায় যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জাকের এন্টারপ্রাইজ’র কাউন্টার ম্যানেজার আলমগীর বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যাত্রী চাপ ছিলো। আজ অনেকটাই কম রয়েছে। যাত্রী কম থাকায় সকাল থেকে দুটি গাড়ির যাত্রা বাতিল হয়েছে।

একে ট্রাভেলসে সাতক্ষীরা যাওয়ার জন্য অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন আশরাফ দম্পতি। সকাল আটটায় বাসের নির্ধারিত ছাড়ার সময় থাকলেও সাড়ে নয়টার পরও কাউন্টারে আসেনি। অপেক্ষারত আশরাফ জানান, বলছে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবে, তবে এখনো কোনও খোঁজ নেই।

গ্রামের বাড়ি নড়াইল যাবার জন্য অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন মুজাহিদ। পরিবারের আরেক সদস্যকে নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। এসময় তিনি জানান, সকাল সাড়ে সাতটায় বাস ছাড়ার কথা থাকলেও সাড়ে দশটার বেশি বাজে। এখনো বাসের দেখা পেলাম না। জানি না কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে, ফেরিঘাটগুলোতে আজ ভোর থেকে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে গাড়ির সারি। শুক্রবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা গেছে, ঘাটের এক কিলোমিটার আগেই সবগুলো গাড়িকে আটকে দিচ্ছে পুলিশ। ভাবখানা এমন যেন ফেরিঘাটে কোন জায়গা নেই। উপায় না পেয়ে যাত্রীরা এক কিলোমিটার আগেই গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে ঘাটে যাচ্ছেন। অথচ ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে তিনটি ফেরি অপেক্ষমান। পুলিশ দুই একটা করে গাড়ি ছাড়ছে সেই গাড়িগুলো এসে ফেরিতে উঠছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, পুলিশ ইচ্ছা করেই ঘাট থেকে এক দেড় কিলোমিটার দূরে গাড়ি আটকে রেখে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি করছে। অথচ ঘাটে কোনো ভিড় নেই। জানতে চাইলে একজন ট্রাফিক পুলিশ বলেন, সবগুলো গাড়ি ঘাটে প্রবেশ করতে দিলে বিশৃঙ্খলা হবে। সে কারণেই দূরেই আটকে রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে এক কিলোমটার দূরে গাড়ি আটকে রাখার সুবাদে যাত্রীরা হেঁটে ঘাটে আসতে বাধ্য হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ইজিবাইক চালকরা এই গ্যাপে বেশি টাকায় ভাড়া মারছে। কয়েকজনের অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছা করেই ইজিবাইক চালকদের এই সুযোগ করে দিচ্ছে। বিনিময়ে তারা ইজিবাইকের চালকদের কাছে থেকে দ্বিগুণ চাঁদা নিচ্ছে।

 

 

 

 


রাজশাহীর কামার পল্লীতে বেড়েছে ব্যস্ততা

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়ায় । কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতের জন্য এখন চলছে ছুরি-চাপাতি কেনার হিড়িক। চাপাতি, দা, বটি, চাকু, ছুরিসহ কোরবানির নানা হাতিয়ার তৈরি ও শাণ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা।
কাটাখালী হাটে গিয়ে দেখা যায়, কেউ হাপর টানছেন। কেউবা আগুনে কয়লা দিচ্ছেন। জ্বলন্ত আগুন থেকে লোহা তুলে সমানতালে পেটাচ্ছেন তারা। সেই তপ্ত লোহা থেকে তৈরি হচ্ছে দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ নানা যন্ত্রপাতি। অনেকেই দা, বটি ও ছুরি শাণ দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছেন কামারদের কাছে। তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের ব্যস্ততা। সার্বক্ষণিক বাতাসে ভাসছে টুং টাং শব্দ।
কামাররা জানান, আকার ভেদে ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন হাতিয়ার বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে চাপাতি তিন থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে, ছুরি আড়াইশ থেকে ৪০০ টাকা এবং বটি তিন থেকে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বড় ছুরি ৪০ টাকা, চাপাতি ৫০ টাকা, দা ৫০ টাকা ও ছোট ছুরি ২০ টাকায় শাণ দেওয়া হচ্ছে।
তপন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘কোরবানির গরু কাটার জন্য একটা চাপাতি ও ছুরি কিনেছি। চামড়া ছাড়ানের জন্য ছোট ছোট ছুরি কিনেছে।
জামাল কামার বলেন, ‘কয়লা, লোহাসহ অন্য জিনিসপত্রের দাম বেশি, তবে ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে কিনতে চান না। সারাদিনে যা আয় হয় তা দিয়ে ঠিক মতো সংসার চলে না। কোরবানির ঈদের সময় এ আয় বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আমরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকি এই সময়টার জন্য। #


দুমকিতে ১৫লাখ চিংড়ির রেণু জব্দ,আটক-১৯
পটুয়াখালীর দুমকি লেবুখালী(পাগল) হতে ৫১ ড্রাম গলদা চিংড়ির রেণু জব্দ করেছে র‌্যাব ৮ পটুয়াখালীর একটি টিম।
যার আনুানিক মূল্য প্রায় দের কোটি টাকা। এ সময় অবৈধ রেণু পরিবহন ও বিক্রির সাথে জড়িত থাকার দায়ে ১৯ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) ভোর রাত চার টার দিকে র‌্যাব ৮ এর লেফট্যানান্ট কমান্ডার এম শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পটুয়াখালীর একটি দল লেবুখালী পাগল মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে এ রেণু জব্দ করে।লেফট্যানান্ট কমান্ডার এম শহিদুল ইসলাম জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোর রাত চার টার দিকে লেবুখালী পাগলার মোড়ে অভিযান চালায় র‌্যাব।
এসময় একটি ট্রাক থেকে ৫১ ড্রাম গলদা চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়।রেণু গুলো কালাইয়া-দুমকি হয়ে খুলনা বাগেরহাট যাচ্ছিলো।এসকল রেণুর বাজারমূল্য আনুমানিক প্রায় দের কোটি টাকা। অবৈধ রেণু পরিবহন ও বিক্রির সাথে জড়িত থাকার দায়ে ১৯ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবেঁ এদের মধ্যে একজন স্কুল ছাত্র ও ট্রাক ড্রাইভারকে ৫০০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকি ১৭ জনের ১৩ জনকে ১মাস ও ৪জনকে ২মাস করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে পটুয়াখালী কারাগারে পাঠানো হয়।
জব্দকৃত এ রেণুগুলো মৎস্য বিভাগের উপস্থিতিতে পায়রা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
গলদা চিংড়ি মাছের রেণু আহরণ অবৈধ হলেও এক শ্রেনীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা এসকল রেণু ভোলা,বরগুনা,পটুয়াখালী জেলার সাগর ও নদী হতে আহরণ করে খুলনা অঞ্চলের ঘের মালিকদের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে বিক্রি করে আসছে। আটককৃত সকলের বাড়ি বরিশালের ভোলা জেলায়।কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দৌলতখানের সিরাজ (২৫), ভোলা সদরের নুরুন্নবি(৩৫),রাকিব(২২) চরফ্যাশনের রবু(৪১),বাচ্চু(৪০), তজুমুদ্দিনের সেলিম(৩০),শফিকুল(৬২),কামাল(৩২),বোরাহান উদ্দিনের আরিফ(৩০), জসিম(৩৮), মিজান(২২),কালাম(৩৫),রিয়াজ(৩৫), শফিক (৩৫), ইউনুছ(২৫),শাহীন(২০) এবং টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জের বেলাল (৩৩)।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ