Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমতলীতে লকডাউন শেষে সরব কামার পল্লী

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২১, ১১:১১ পিএম

মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউন বুধবার মধ্য রাত থেকে শিথিল হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমতলীর কামার পল্লী সরব হয়ে উঠেছে। লোহার যন্ত্রপাতি তৈরিতে দিনভর ব্যস্ত সময় পার করছেন আমতলীর কামার পল্লীর শিল্পীরা। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে এক ধরনের খুশির আমেজ।

ঈদুল আযহার আর মাত্র ৫দিন বাকী। মহামারী করোনা ভাইরাসের লকডাউনের কারণে ঝিমিয়ে পরা কামার পল্লী হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সরব হয়ে উঠেছে। দোকান পাট বন্ধ থাকায় এত দিন বসে বসে অলস সময় পার করছিল কামার শিল্পীরা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে লকডাউন বুধবার মধ্য রাত থেকে শিথিল করায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সকল ধরনের দোকান পাট খুলে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের খুশির আমেজ ফিরে আসে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নিরব থাকা কামার শিল্পীরা সরব হয়ে উঠেছে। কোরবানীর গবাদিপশু জবাই করতে এবং মাংস তৈরিতে দা, কুঠার, ছুড়ি, চাপাতির বেশি প্রয়োজন। এ যন্ত্রপাতি তৈরিতে আমতলী-তালতলী উপজেলা ও হাট বাজারের কামার পাড়ায় কামার শিল্পীরা দিনভর ব্যস্ত হয়ে পরেছে।গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকান পাঠও। দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন মাঠের খোলা যায়গার এক কোনে অস্থায়ী তাঁবু টানিয়ে দোকান বসিয়ে মাল তৈরি ও বেচা করছেন কামার শিল্পীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে আমতলীর কামারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, ঠুংটাং শব্দে শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামার পারা। কামার শিল্পীরা দা, বটি, কুঠার, ছুরি ও ছেনিসহ প্রয়োজনীয় লোহার যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা আবার ক্রেতার সঙ্গে দরদাম করছেন। ক্রেতার আনাগোনাও বেড়ে গেছে অনেক। অনেক দোকানে ক্রেতাদের একটু আদটু চা পানের আদর আপ্যায়নও চলছে বেশ। কোন কোন ক্রেতা দাম হাঁকিয়ে বনি বনা না হওয়ায় আবার অন্য দোকানে যাচ্ছেন। এভাবেই লোকজনের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠেছে ঝিমিয়ে পরা কামাল পল্লী। কামার শিল্পী গৌরঙ্গ কর্মকার বলেন, শেষ সময়ে ক্রেতারা ছুটে আসছেন। বেচা বিক্রিও ভাল। আমতলীর শ্যাম কর্মকার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৫ হাজার টাকার টাকার মালামাল বিক্রি করেছি। গাজীপুর বাজারের শম্ভু কর্মকার, বলেন, শেষ সময়ে এসে মালা বেচা কেনা অনেক ভালো। আমতলী পৌর শহরের গৌরাঙ্গ কর্মকারের দোকানের শ্রমিক পবিত্র কর্মকার বলেন, ভেবেছিলাম এবছর আর দোকান খুলতে পারো না। কিন্তু শেষ সময়ে এসে দোকান খুলে কাজ করতে পারায় অনেক আনন্দ লাগছে।

আমতলী উপজেলা কর্মকার সমিতির সভাপতি পরিতোষ কর্মকার বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে দোকান বন্ধ থাকায় কামার শিল্পীরা ঝিমিয়ে পরেছিল। এতে আর্থিক ভাবেও তারা অনেক লোকমানের সম্মুখীন হয়। ঈদুল আজহার ৫দিন আগে লকডাউন শিথিল হওয়ায় কিছুটা হলেও কামার শিল্পীরা া কাজ করে আয় করার সুযোগ পাবে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কামার শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে সরকারীভাবে প্রণোদনা দেয়া খুবই প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরগুনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ