মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত মে মাসের শুরু থেকেই আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। এরপর থেকেই শক্তি পেয়ে যায় তালেবানরা। তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নতুন নতুন এলাকা নিজেদের কব্জায় নিতে শুরু করে। বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে তাদের এই গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী অনেক দেশ। এর মধ্যে পাকিস্তান একটি কূটনৈতিক উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ভয়েস অব আমেরিকা।
ইসলামাবাদের উচ্চ পদস্থ সরকারি সূত্রগুলো বুধবার বলেছেন, পাকিস্তানের উদ্যোগে ওই কনফারেন্স হওয়ার কথা রয়েছে ১৭ থেকে ১৯ শে জুলাই। এতে যোগ দেয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন আফগানিস্তানের বেশ কিছু নেতা। আফগানিস্তানের পাকিস্তান বিষয়ক প্রেসিডেন্সিয়াল বিশেষ দূত মোহাম্মদ উমর দাউদজাই এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ওমর জাখিলওয়াল নিশ্চিত করেছেন তারা বৈঠকে যোগ দেবেন। তবে বৈঠকের সময় নিয়ে আলোচনা চলছে।
সূত্র বলেছেন, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালাহউদ্দিন রাব্বানি, সাবেক অর্থমন্ত্রী ওমর জাখিলওয়াল, হাজারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ মোহাকিক, সাবেক যুদ্ধবাজ থেকে রাজনীতিক গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার এবং আহমেদ ওয়ালি মাসুদকে। এসব আমন্ত্রিত নেতাদের অনেকে আবার কাতারের রাজধানী দোহার আলোচনায় যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে আফগানিস্তানের জাতীয় পুনরুজ্জীবিতকরণ বিষয়ক পরিষদের প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে তালেবান নেতাদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আঞ্চলিক দেশগুলো উদ্বিগ্ন। তারা সম্মিলিতভাবে আফগানদেরকে একটি সমঝোতায় আসার জন্য চাপ দিচ্ছেন, যাতে তারা সবার অংশগ্রহণমূলক একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছেন। আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া প্রতিরোধে এটা প্রয়োজন। আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত মানসুর খান বলেছেন, আফগানিস্তানের সব পক্ষের সঙ্গে তার দেশ শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আফগান সরকার এবং তালেবানরাও। তিনি ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, আমরা ইতিবাচক উপায়ে আমাদের প্রভাব ব্যবহার করে গঠনমূলকভাবে যুক্ত হয়েছি। আফগানিস্তান পরিস্থিতি সমাধানের একখানা প্রেসক্রিপশন আমরা ধরিয়ে দিতে পারি না এবং উচিতও না। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।