আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সিলেট নগরীতে ৩টি কুরবানির পশুর হাটের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর চেয়ে বেশি হাটের অনুমতি দেননি প্রশাসন। অনুমতি দেয়া হাটগুলো হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক ট্রাক টার্মিনাল, নগরীর মাছিমপুর এলাকার কয়েদির মাঠ ও শাহী ঈদগাহ এলাকার কালাপাথর মাঠ। আজ সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান।

তিনি বলেন, আজ (বুধবার) পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি আমরা। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) টেন্ডার ড্রপের শেষ দিন। সকল প্রক্রিয়া শেষ হতে ২-৩ দিন লাগবে। এরপরই নির্ধারিত অনুমোদিত ৩টি স্থানে বসবে পশুর হাট। এদিকে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট নিয়ে ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। হাট ব্যবস্থাপনায় নির্দেশনাগুলো পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ বুধবার (১৪ জুলাই) সরকারি এক তথ্যবিরণীতে জানানো হয়েছে এ কথা।

নির্দেশনায় রয়েছে:
>> আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনের পাশাপাশি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি অন্যান্য নির্দেশনা মেনে বসাতে হবে কোরবানির পশুর হাট।
>> কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে, অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বহির্গমন পথ করতে হবে পৃথক ।
>> হাতে পর্যাপ্ত সময় রেখে ক্রয় নিশ্চিত করতে হবে পশু।
>> বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে প্রবেশ।
>> পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণে সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
>> হাটে আগত সকলে যাতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।

>> হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি এবং জীবাণুনাশক সাবান রাখতে হবে।
>> অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনা-বেচার জন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআই’র কারিগরি সহায়তায় এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় www.digitalhaat.net প্ল্যাটফর্মে সারাদেশের ২৪১টি ডিজিটাল হাট করা হয়েছে যুক্ত।

>> যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে আইনগত ব্যবস্থা।
>> পশুর হাটে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়ানো, প্রবেশ ও বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
>> সরকার নির্ধারিত স্থানে দিতে হবে পশু কোরবানি।
>> পশু কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদেরকে বর্জ্য অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে গ্রহণ।