বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, রূপগঞ্জে অগ্নিকাÐের দায় সংশ্লিষ্ট আমলাদের। মন্ত্রণালয়ের ফ্যাক্টরি পরিদর্শক যে বিভাগ আছে তারা কী করেছে? তাদের তো উচিত ছিলো ওই ফ্যাক্টরিতে সকল নিয়ম মানা হয়েছে কী-না, তাদের লাইসেন্স আছে কী-না এবং ফায়ার এক্সিট আছে কী-না, সর্বপরি ফ্যাক্টরি চালানোর অনুমোদন আছে কী-না এসব দেখা।
গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। সজীব গ্রæপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাÐে শ্রমিক হত্যা এবং সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এ নাগরিক সংবাদ সম্মেলন› অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সব থেকে মজার ব্যাপার হলো এই অগ্নিকাÐে যাদের অবহেলায় হয়েছে এবং যারা এসব হত্যাকাÐের সাথে পরোক্ষভাবে দায়ী তাদেরই সহকারী সচিবকে এই ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি থেকে আমরা কী আশা করতে পারি?
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি যদি সরকারের ন্যূনতম আস্থা থাকতো তাহলে একজন সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ কিংবা সাংবাদিক অথবা বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করত। যারা নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতেন। নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, একটা বড় ট্রাজেডি ঘটার আগে কেউ দেখে না। যখন খবর এসে যায় তখন আমাদের সরকার বলে অমুকের দোষ, তমুকের দোষ। একজন আরেকজনকে দুষছেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকাÐে কতজন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে তা সঠিক প্রকাশ করা দাবি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বলা হচ্ছে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডিএনএ ও অন্যান্য আলামত দেখে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ছে। স্থানীয়দের দাবি সেখানে আরও অনেক বেশি শ্রমিক মারা গেছে। তিনি বলেন, প্রত্যেক মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের একটা মানদÐ তৈরির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্ষতিপূরণের যে মানদÐ আছে তা পরিবর্তন হওয়া দরকার। ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হবে কোনো শ্রমিক যদি কর্মক্ষেত্রে মারা যান তাহলে তার এক জীবনের আয়ের সমান। মৃত্যুকালীন বয়স থেকে স্বাভাবিক নিয়মে অবসরে সময়কাল পর্যন্ত শ্রমিকের সম্ভব্য যে আয় সেই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হোক নূর বলেন, এই সরকার পরিকল্পিতভাবে নাগরিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। করোনাকালে যাদের প্রাণ চলে গেছে, এটাকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করা যায়। যার জন্য সরকার দায়ী থাকবে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে করোনাকালীন সময়ে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বেড়েছে। সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি যে মাদরাসা ও ইসলামি মাইন্ডের মানুষদের বেশি গুম করা হচ্ছে। এটার কারণ আমরা বলতে পারছি না। প্রত্যেকটি গুম-খুনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাহিনী জড়িত। যদি রাষ্ট্রীয় বাহিনী জড়িত না থাকে তাহলে তারা খুঁজে বের করুক এই গুম কারা করেছে। তাদের তো এটা দায়িত্ব।
গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মÐলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।