পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের বোকা বানাচ্ছেন। বাজেটে একটি কথাও নেই কীভাবে দেশে গণতন্ত্র আসবে, কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আসলে ওনারা দখল করে থাকতে চান। বাংলাদেশকে না জানিয়ে গজলডোবার সবগুলো গেট খুলে দিয়ে ভারত রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত বন্যা, খরা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
বাজেট প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভুল হলো বাজেটে ক্ষুদ্র খামারি ও শ্রমিকদের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখেননি। তার চাইতেও বড় কথা, বাংলাদেশে আসা ১২-১৩ লাখ রোহিঙ্গা যা বেড়ে ২৫ লাখ হয়েছে, আগামী ১০ বছরে এইটা আরও বাড়বে, তাদের জন্যও কোনো বরাদ্দ নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও বরাদ্দ কমেছে। প্রধনামন্ত্রী একটা ভালো কাজ করেছেন পরিসংখ্যান বিভাগের বাজেটটির ৮০ ভাগ কেটে দিয়েছে। কারণ ওনার খারাপ লাগছিল আর কত মিথ্যা কথা বলা যায়। সে জন্য পরিসংখ্যানের বাজেট কেটে দিয়েছেন ৮০ ভাগ।
তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগে আইন নাই, আলেমদের জামিন নাই। তাই আইন বিভাগে বাজেট কেটে দিয়েছে কারণ যেই বিচারপতিদের কোমরে জোর নাই-মেরুদণ্ড সোজা না তাদের পয়সা দিয়ে লালন-পালন করে লাভ কী। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ যখন বন্যার কারণে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা না করে প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে ভারত যাচ্ছেন। ভারত যাবেন আমাদের নদী হিস্যার কিছু করবেন কী? আসলে প্রধানমন্ত্রীর এজেন্ডায় একবারও দেখিনি তিস্তার আলোচনার কথা।
আন্দোলনের বিষয়ে গণস্বাস্থ্যের এ ট্রাস্টি বলেন, জনগণের অধিকার ফেরত পেতে রাজপথে থেকে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। অধিকার ফেরত দিতে বাংলাদেশকে ১৫ থেকে ১৭টা প্রদেশে ভাগ করতে হবে। তাহলে দেখা যাবে, এখানে যারা উপস্থিত রয়েছে তাদেরও দু-একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবে। তারা মুখ্যমন্ত্রী হলে নতুনত্ব দেবে। আমাদের সততা আনবে, উদাহরণ সৃষ্টি করবে। ঘুষ কমাবে দুর্নীতি কমাবে।
গণঅধিকার পরিষদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তোমাদের এ ভবিষ্যত বিজয় পথে আমি সঙ্গে আছি। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মালেক ফরায়জী, তারেক রহমান, আমিন আফসারীসহ ছাত্র ও গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।