নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটা দৃশ্য যেন ‘নিয়মিত পুণঃপ্রচার’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল- ট্রফির সামনে দিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবল এত এত সাফল্য, ব্যক্তিগত অর্জনে কী নেই, কিন্তু জাতীয় দলের জার্সিতেই কেন এমন হয়! টানা তিনবার ফাইনাল হারের পর তাই কষ্টে অবসর নিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তবে আবার ফিরে এসেছেন, বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কারণ মেসির মনে বিশ্বাস ছিল, সময় একদিন আসবে, সৃষ্টিকর্তা তার জন্য জমা রেখেছেন আর্জেন্টিনার জার্সির পুরস্কার।
২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। গতকাল ভোরে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে তাতে মেসির দুঃখও ঘুচেছে। আনন্দের বৃষ্টিতে অবিরত ভিজে চলেছেন এখন। মারাকানায় শেষ বাঁশি বাজার পর থেকে উৎসব চলবে। তবে সেই আনন্দ ভাষায় বোঝানোর ক্ষমতা নেই ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর।
সর্বকালের সেরাদের কাতারে মেসিকে রাখা হলেও জাতীয় দলের হয়ে কিছু জিততে না পারায় নিন্দুকেরা বন্দুক তাক করা থাকতো তার দিকে। তবে মেসির বিশ্বাস ছিল, একদিন আসবে সেই দিন। এবারের কোপায় ফুটবলদেবতা দুহাত ভরে দেওয়ার পর ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফাইনাল জয়ের উৎসবের ফাঁকে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেছেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে কিছু জিততে পারিনি-এই অপবাদটা আমার ঝেরে ফেলার দরকার ছিল। অনেকবার আমি কাছে গিয়েছি এবং আমি জানতাম একটা না একটা সময় মুহ‚র্তটা আসবে।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলের বিপক্ষে এই মুহ‚র্তটা আমাকে উপহার দেওয়ায় ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আর মনে হয়, সৃষ্টিকর্তা আমার জন্য এই মুহ‚র্তটা জমা রেখেছিলেন।’
আনন্দের ভেলায় ভাসছেন। উড়ে চলেছেন সাফল্যের বেলুনে। কিন্তু সেই অনুভ‚তি প্রকাশ করার ভাষা নেই মেসির কাছে, ‘এটা আসলে পাগলাটে। আমি বোঝাতে পারবো না এই আনন্দের অনুভ‚তি কেমন। অনেকবার আমি যন্ত্রণা নিয়ে বিদায় নিয়েছি। তবে জানতাম একটা সময় এটা পাল্টাবে। ভালো সময় আসবেই।’ সেই ভালো সময় পেলেন তাও আবার-চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।