মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিন যতই গড়াচ্ছে বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম করোনা ধরা পড়ে চীনের উহান প্রদেশে। সে থেকে শুরু করে ইতোমধ্যে দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। করোনা তার ধরণ অসংখ্যবার পরিবর্তন করলেও সংক্রমণের তেজ কমেনি।
করোনা অতিমারী থেকে রেহাই পায়নি মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আবারো আশঙ্কার কথাই বলেছে। ডব্লিউএইচও-এর প্রধান গবেষক ডা. সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, কোথাও কোথাও সংক্রমণের গতি কমলেও সামগ্রিক ভাবে অতিমারীর বিপদ কমছে, এমনটা মোটেও বলা যাচ্ছে না। উল্টো চারটি প্রধান কারণের ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে এখনও অব্যাহত রয়েছে মারণ ভাইরাসের দাপট।
সম্প্রতি ‘ব্লুুমবার্গ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করোনা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন স্বামীনাথন। তিনি জানান, বর্তমানে চারটি প্রধান কারণে করোনা সংক্রমণ কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এগুলো হচ্ছে ডেলটা স্ট্রেন, সামাজিক মেলামেশা, লকডাউন মানার ব্যাপারে অনীহা এবং টিকা প্রদানে শম্বুক গতি। এই চারটি কারণই এই মুহূর্তে করোনা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে।
স্বামীনাথন জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত করোনার যতগুলো স্ট্রেন দেখা গেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ডেলটা স্ট্রেন। এটি ইউরোপ, আমেরিকা হয়ে সারা বিশ্বের বহু দেশেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তার দাবি, আদি করোনা ভাইরাসে একজন আক্রান্ত হলে তার থেকে ৩ জন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। ডেলটার ক্ষেত্রে সেটা একজন থেকে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে!
এছাড়াও অনেক দেশে মানুষ দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে এবার সামাজিক মেলামেশা শুরু করেছে। আবার অনেক দেশই লকডাউন তুলে দিয়েছে। এর ফলেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
স্বামীনাথন বলছেন, ডব্লিউএইচও-এর আশঙ্কা যেভাবে প্রথম বিশ্বের দেশ মাস্ক পরা কিংবা সামাজিক দূরত্বের মতো কোভিড বিধি নিয়েও কড়াকড়ি করছে না তা বিপদ আরও বাড়াচ্ছে। এর সঙ্গে আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে একেবারেই ধীরগতি। সেই সঙ্গে অক্সিজেন কিংবা হাসপাতালে বেডের ঘাটতির মতো বিষয়ও পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
তিনি জানান, বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ বাড়তির দিকে। সে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। একমাত্র আফ্রিকায় গত ২ সপ্তাহে মৃত্যুহার একধাক্কায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার তথ্য ডব্লিউএইচও পেয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।