মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহাকাশে যাচ্ছেন রিচার্ড ব্র্যানসন। রোববার (১১ জুলাই) মহাকাশের এমন স্থানেই তিনি যাবেন, যেখানে কোনো নভোচারী আগে যাননি। নিজের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ভার্জিন গ্যালাক্টিকের সুপারসনিক মহাকাশ বিমানে করেই মহাকাশে পাড়ি জমাবেন তিনি। টানা দুই দশকের গবেষণা আর চেষ্টার পর নিশ্চিত হয়েছে তার এই যাত্রা। ২০০৪ সালে ভার্জিন গ্যালাক্টিক প্রতিষ্ঠা করেন ব্র্যানসন। লক্ষ্য ছিল, এমন একটি মহাকাশযান তৈরি করবেন, যেটিতে করে ৮ জন মানুষ মহাকাশে যাবেন, এর মধ্যে দুজন বৈমানিক আর ৬ জন যাত্রী থাকবেন। পৃথিবী থেকে ৫০ ইল উঁচুতে উঠবে এই মহাকাশযান। ভার্জিন গ্যালাক্টিকের মহাকাশযান ভিএসএস ইউনিটি এখন পর্যন্ত ২০টি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে ৩টি ফ্লাইট মহাকাশের সীমানাপ্রাচীরে গেছে। কিন্তু ব্র্যানসনই প্রথম কোটিপতি, এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আর মহাকাশযানটি যার তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে। রোববার খুব সকাল সকালই ব্র্যানসনের স্পেসক্রাফট মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করবে। এ জন্য ভার্জিন গ্যালাক্টিক লাইভ স্ট্রিমিংয়ের আয়োজনও রেখেছে। নিজের স্পেস ফ্লাইটে ব্র্যানসন তার তিন সহকর্মীকে রাখছেন। একজন বেথ মোজেজ, তিনি ভার্জিন গ্যালাক্টিকের প্রধান নভোচারী প্রশিক্ষক। ২০১৯ সালে ভিএসএস ইউনিটির টেস্ট ফ্লাইটে তিনি একবার মহাকাশে গেছেন। পুরো মহাকাশ যাত্রা, ফ্লাইট এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে এই মহাকাশ প্রকৌশলীর ওপর। যাচ্ছেন কোলিন বেনেট। তিনি কোম্পানির প্রধান অপারেশনস ইঞ্জিনিয়ার। পুরো যাত্রা মূল্যায়ন করবেন তিনি। যাচ্ছেন সিরিশা বান্দলা। তিনি ভার্জিন গ্যালাক্টিকের সরকারি গবেষণাবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট। মহাকাশ যাত্রার বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি। রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, যখনই কেউ মহাকাশ যাত্রা নিয়ে ভাবে, তারা ভাবে কোন মহাকাশযান পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে, মহাকাশে ভাসছে কিছুদিনের জন্য। তবে ভিএসএস ইউনিটি এই কাজ করবে না। এই মহাকাশযান সরাসরি মহাকাশের উদ্দেশে লম্বালম্বিভাবে পৃথিবী থেকে ছেড়ে যাবে না। নিউ মেক্সিকোতে ভার্জিন গ্যালাক্টিকের কার্যালয়ের পাশের রানওয়ে থেকে মহাকাশযানটি টেকঅফ করবে। মাদারশিপ হোয়াইট কিং টু’এর সঙ্গে লাগোয়াভাবে থাকবে ভিএসএস ইউনিটি। মাদারশিপটি ৪৫ মিনিটের মধ্যে ভিএসএস ইউনিটি নিয়ে ৫০ হাজার ফিট ওপরে উঠবে। এরপর ভিএসএস ইউনিটি আলাদা হয়ে যাবে। ভিএসএস ইউনিটি সাব অরবিটাল রকেট। মহাকাশে যেয়ে কিছুক্ষণের জন্য নিজেদের ভরশ‚ন্য অনুভব করবেন। এরপর স্পেসশিপ টু নভোচারীদের পৃথিবীতে নিয়ে আসবেন। সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।