Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার জিকার হানা, সতর্কতা জারি

করোনা সংক্রমণ না কমার কারণ জানালেন হু’র প্রধান বিজ্ঞানী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যেই এবার ভারতে জিকা ভাইরাস হানা দিয়েছে। দেশটির কেরালা রাজ্যে অন্তত ১৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। এরপরই সতর্কতা জারি করে রাজ্য সরকার। জিকা ভাইরাস নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অজয় চক্রবর্তী। খবর এবিপি আনন্দের। জানা গেছে, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠন করা হবে পরামর্শদাতা কমিটি। সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং সেই সংক্রান্ত পদক্ষেপে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে বর্তমানে নজরদারি ব্যবস্থা আরও বাড়ানো হয়। এদিকে নবজাতকের হেড ডায়ামিটার ম্যাজারমেন্টের রিপোর্ট নিয়মিত জমা দিতে বলা হয়েছে। কোনও নবজাতকের হেড ডায়ামিটার ম্যাজারমেন্টে অস্বাভাবিক হলেই তা স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরে আনতে বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কমিটির কাজ হবে রাজ্যে জিকা ভাইরাস চিহ্নিত করা, প্রতিকারের উপায় সন্ধানসহ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে পরামর্শ দেয়া। কেরালায় আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ২৪ বছরের একজন গর্ভবতী নারীও আছেন। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, তিরুঅনন্তপুরমের ১৩ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে জিকা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ায় তাঁদের নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ইফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়। তারা সবাই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। আর ওই গর্ভবতী নারী মঙ্গলবার সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ না কমার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখনও সংক্রমণ না কমার কারণ হিসেবে চারটি প্রধান কারণের কথা উল্লেখ করেছেন সৌম্যা। তিনি বলেন, যে চারটি প্রধান কারণের ফলে সংক্রমণ কমছে না সেগুলো হলো- ১. ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ বৃদ্ধি। ২. সামাজিকভাবে মেলামেশা বেড়ে যাওয়া। ৩. লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়া। ৪. টিকাকরণের কম গতি। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটি অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া আফ্রিকাতে করোনায় মৃত্যুহার গত দুই সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ও ৯ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত, সংক্রমণ এখনও কমেনি।’ সৌম্যা আরও বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চিন্তা বাড়িয়েছে ডেল্টা প্রজাতি। যেভাবে একাধিক দেশে এই প্রজাতির সংক্রমণ বাড়ছে তাতে চিন্তায় পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। আগে একজন আক্রান্ত হলে আরও তিন জনকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা রাখত। কিন্তু ডেল্টা প্রজাতিতে এক জন আক্রান্ত হলে আরও আট জনকে আক্রান্ত করতে সক্ষম। তাই সব দেশগুলোকে বিধিনিষেধ বজায় রাখা এবং দ্রুত টিকাকরণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ