Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বজনদের আহাজারি কাঁদছে রূপগঞ্জ

হাসেম ফুড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড : নিহত ৫২ উত্তেজিত শ্রমিকদের বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, আনসারদের অস্ত্র লুট মালিকপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন শ্রমিক ও নিহতের স্বজনরা

মো. খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আরো ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়েছিল। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২ জনে। নিহত ও নিখোঁজদের স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে রূপগঞ্জের আকাশ-বাতাস। ঘটনাস্থলের আশপাশে বিলাপ করছে বহু মানুষ। গতকাল দুপুরে ফায়ার সার্ভিস যখন একটার পর একটা লাশ উদ্ধার করছিল তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সেই দৃশ্য দেখে উপস্থিত কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি। মর্মান্তিক এ ঘটনায় পুরো রূপগঞ্জই যেন কাঁদছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে হাসেম ফুড কারখানাটির চতুর্থতলা থেকে ৪৯ টি লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া লাশগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চেনার কোন উপায় নেই। স্বজনরা চাইলেও লাশ দেখে শনাক্ত করতে পারবেন না। ডিএনএ টেস্ট ছাড়া লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হবেনা।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অগিকান্ডের ঘটনায় দুই নারী স্বপ্না রানী ও মিনা আক্তার নিহত হন। পরে রাত ১১ টার দিকে মোরসালিন (২৮) নামে আরো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬ তলা ভবনটির মধ্যে চতুর্থ তলা পর্যন্ত আগুন নির্বাপন সম্পন্ন হয়েছে। তবে পঞ্চম তলা ও ষষ্ঠ তলার আগুন নির্বাপনের কাজ চলছিল। আগুন নির্বাপনের পর মোট হতাহতের সংখ্যা বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। নিহতদের স্বজনরা কারখানার চারপাশে ভীড় জমিয়েছে। স্বজনদের আহাজারিতে কারখানার আশপাশে ভারি হয়ে উঠেছে।

এদিকে আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিক শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও ভাংচুর চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটায়। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হাসেম ফুডের আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে আনসারদের মারধর করে অস্ত্রাগার থেকে তিনটি শর্টগান লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান উপজেলা আনসারদের ইনচার্জ নাছিমা বেগম।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানায় প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কর্মচারী কাজ করে। ছয়তলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচ তলার একটি ফ্লোরের কার্টুন এবং পলিথিন তৈরীর কাজ চলে। সেখান থেকেই হঠাৎ করে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। এসময় আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কালো ধোঁয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছুটাছুটি করতে শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেয়। তবে চারতলায় থাকা প্রায় ৭০-৮০ জন শ্রমিক কাজ করেন। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে চারতলার শ্রমিকরা ছুটাছুটি করতে থাকলে ওই তলার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষী কেচি গেইটে তালা দিয়ে রাখেন। আগুন নিভে যাবে বলে তালা দিয়ে শ্রমিকদের ওই তলাতেই বসিয়ে রাখেন। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অন্যান্য তলার শ্রমিকরা অনেকে বের হতে পারলেও চার তলার শ্রমিকরা বের হতে পারেনি। আগুনের খবর পেয়ে কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করে। নিহতের কেউ কেউ মোবাইল ফোনে স্বজনদের সঙ্গে শেষ কথা বলেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুন থেকে বাচঁতে রানী, মিনা আক্তার ও মোরসালিন হক নিহত হয়। এছাড়া এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন। এদের মধ্যে ১০ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকলে কলেজ ও বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ নূসরাত জাহান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আতিকুল ইসলাম।

এদিকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও আঞ্চলিক পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানাসহ ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চলাচলরত গাড়িসহ মোট অর্ধশতাধিক গাড়ি, মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেডে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হাসেম ফুডের আনসার ক্যাম্পে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় শ্রমিকরা ক্যাম্পের অস্ত্র সংরক্ষণাগারের তালা ভেঙ্গে তিনটি শর্টগান লুট করে নেয়। এসময় শ্রমিকদের হামলায় কাউসার, বিশ^জিত, ফারুক, মোশরাকুলসহ প্রায় ৫ আনসার সদস্য আহত হয়।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারখানার ভবনের প্রতিটি তলায় ক্যামিকেল ও ক্যামিকেল মিশ্রিত কাঁচামাল ছিলো। আর এসব ক্যামিকেলের কারণে আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানা চলাকালীন মালিকপক্ষ গেইট গুলো তালাবদ্ধ করে রেখেছে। আর আগুন লাগার সাথে সাথে শ্রমিকরা বের হতে পারে নি।

শ্রমিক ও নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হাসেম ফুড কারখানাটি অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চলতো। এ কারখানাটিকে অগ্নি নির্বাপণের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এছাড়া কারখানাটিতে বেশিরভাগই শিশু শ্রমিক কাজ করতো। এছাড়া কারখানাটি অতিরিক্ত খাদ্য পন্যে অতিরিক্ত ক্যামিকেল ব্যবহার করতো। এ কারণেই অতিরিক্ত ক্যামিকেলের কারণে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের এতো দেরি হয়। এছাড়া কারখানাটির ভবন থেকে বের হতে শ্রমিকদের জন্য কোন ইমারজেন্সী এক্সিটের ব্যবস্থা রাখা হয় নি। এছাড়া নিহত শ্রমিকদের মাঝে বেশিরভাগই শিশু।

১২ বছর বয়সী শিশু শ্রমিক বিশাখা রানী ক্ষোভের সূরে বলেন, বাবা মাসহ আমাদের ৫ বোনের সংসার। বেতন ভাতা ও ওভার টাইম না পাওয়ায় আমরা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলাম। এ কারণে আমরা শ্রমিকরা বেতনের ভাতার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করি। আর এ ক্ষোভেই কারখানা মালিপক্ষ এই ভবনে আগুন লাগিয়ে আমার সপ্না রানীসহ অন্যান্য শ্রমিকদের হত্যা করে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
নিখোঁজ শ্রমিক তাছলিমা আক্তারের বাবা আক্তার হোসেন বলেন, মালিকপক্ষের দোষেই কারখানায় আগুন লাগে। এছাড়া মালিকপক্ষ শ্রমিকদের চারতলায় আটকে রেখে হত্যা করে। আমরা এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

নিখোঁজ শ্রমিক অমৃতা রানীর (১৭) বোন রোজিনা আক্তার জানান, তার বোন অমৃতা আক্তার চারতলায় কাজ করছিল। অমৃতা রানী বলছিল মালিকপক্ষ তাদের আটকিয়ে রেখে জোর করে ১২ ঘন্টা ডিউটি করাতেন। ঘটনার দিনও তারা কেচিগেট তালা দিয়ে রাখায় চারতলার কোন শ্রমিক বের হতে পারেনি। হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানাটির যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সে ভবনটি বিল্ডিং কোড না মেনে করা হয়েছে। অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কারখানাটি পরিচালনা করায় এ অগ্নিকান্ডে সূত্রপাত হয়।

কারখানা অন্যান্য শ্রমিক আরো অভিযোগ করে বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন ভাতা ঠিক মতো পরিশোধ করেন না। শ্রমিকরা বেতন চাইলে মালিকপক্ষ তাদের মারধরসহ ও চাকুরীচ্যুত করা হুমকি ধামকি দিতো। কারখানাটিতে দুটি গেট থাকলেও একটি গেট কারখানা কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে রাখে। কোন দুর্ঘটনা হলে শ্রমিকরা দ্রুত গতিতে বের হতে গেলেও শ্রমিকদের পদদলিত হওয়ার শঙ্কা থাকে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। অগ্নিকান্ডে যারা নিহত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের পরিবারদের নগদ ১০ হাজার টাকার করে দেওয়া হবে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হাসেম ফুডে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেন। চারতলা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার চতুর্থ তলা থেকে এ পর্যন্ত ৪৯ টি লাশ উদ্ধার করে হয়েছে। লাশ গুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার আগুন এখনো থেমে থেমে জ¦লছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করলে বুঝা আরো হতাহতের সংখ্যা বাড়বে কিনা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হতাহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তসীর গাজী (বীর প্রতিক) বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে হতাহতের ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনার ব্যপারে তদন্ত কমিটির উপর ছেড়ে দেয়া হলো। কারখানার অব্যবস্থাপনার কারণে যদি এ ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সে ব্যপারেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

Show all comments
  • AlhajjskJahed Ulislam ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৭ এএম says : 0
    আল্লাহ তায়ালা যেন তাদেরকে শহিদী মর্তবা দান করে, এবং তাদের পরিবারগণকে ছবর ধরনের তাউফিক দান করেন।আল্লাহ যেন আমাদেরকে আছানক মৃত্যু থেকে হেফাজত রাখেন।আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Ahsan Zomir Habib ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশে কোন সিস্টেম নাই তাই জনগণের জান এতো ঝুঁকিতে, নেতারা মিল কারখানা থেকে টাকা নিয়ে আপাতত ঘুমিয়ে আছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mosharof Hossain ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৮ এএম says : 0
    লকডাউনের সময় ত কারখানা,গার্মেন্টস,,অফিস খোলার কথা না। গার্মেন্টস এবং কারখানা যদি খোলা থাকে তাহলে কিশের লকডাউন এটা কি তামাশার লকডাউন। গার্মেন্টস এর ভিতরে যদি একই সাথে এত লোক কাজ করে সেখানে কি ভাইরাস হবে না, কারখানায় অনেক লোক এক সাথে সেখানে ভাইরাস হবে না…
    Total Reply(0) Reply
  • Irin Pramanik Dina ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৮ এএম says : 0
    · ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে এ শোক কাটিয়ে উঠার তৌফিক দান করো , প্রত্যেক মৃত ব্যক্তিকে জান্নাত নসীব করো । আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Mofazzal Hossain ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৮ এএম says : 0
    ফায়ার এক্সিট যদি নাও থাকে, বিল্ডিং এর প্রধান সিঁড়ি যদি খোলা থাকে, , একটা বিল্ডিং এর চতুর্থ তলায় 50 জন শ্রমিকের মৃত্যুর প্রায় অসম্ভব। শ্রমিকেরা দেখতে না পেলেও অথবা তাপ বেশি হলেও ধোঁয়ার মধ্যে এক মিনিটে নাক বন্ধ করে নিচে নেমে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Rashedul Hasan ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৯ এএম says : 0
    যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কি কোনদিন কেউ ব্যবস্থা নিতে পারবে। দোষীদের বিচার করার দায়িত্ব সরকারের প্রশাসনের উপর। আমরা বিচার চাইতে পারি কিন্তু বিচার করার দায়িত্ব একমাত্র সরকার তথা প্রশাসন । কিন্তু প্রশাসন কি দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে পারবে?
    Total Reply(0) Reply
  • Bablu Bablu ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৯ এএম says : 0
    ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।আল্লাহ প্রত্যেক মৃত ব্যকর পরিবাকে এ শোক কাটিয়ে উঠার তৌফীক দানকরো, প্রত্যেক মৃত্যু ব্যকিকে জান্নাত নসীব করো।আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • Tarif Ahmed ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৫০ এএম says : 0
    সরকার সর্বাতক লকডাউন দিয়ে ধনীদের ইন্ডাস্টি খোলা রেখেছে। তাই এই গরিব খেটে খাওয়া মানুষদেরকে জীবন দিতে হলো। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না। আল্লাহ সবাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • MD Saiful Islam ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৫০ এএম says : 0
    ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। আল্লাহ জেনো সবাইকে জান্নাত নাছিব করেন আমিন। আর তাদের পরিবারের সদস্যদের জেনো এই কষ্ট সহয়বার তৌফিক দেন।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Saiful IslamMd Toriqul Islam ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৫০ এএম says : 0
    কারখানার মালিক সহ কর্মকর্তা সবাই কে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো উচিত। কারণ আগূন লাগার পর তাদের আদেশেই মেইন গেট সহ অন্যান্য গেইট বন্ধ করে দিয়েছে। ওদের কাছে টাকাই বড় মানুষ নয়। হিসেব করছে কারখানা কোটি কোটি টাকার সম্পদ যদি লুন্ঠন হয়ে যায় তাহলে তো শেষ।
    Total Reply(0) Reply
  • Harunur Rashid ১০ জুলাই, ২০২১, ১:৫৯ এএম says : 0
    No doubt fire safety violation rampant in a lawless country. My heart goes out to the victims and their families.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ